শুরুটা করেছিলেন ফেদেরিকো ভালভার্দে, ম্যাক্সিমিলিয়ানো আরাউহোর পাস ডি বক্সের ঠিক বাইরে পেয়ে খানিকটা জায়গা করে নেন তিনি। এরপর প্রায় বিশ গজ দূর থেকে বিদ্যুৎ গতির শট, ঠেকাবে এমন সাধ্য কার। এডারসনও পারেননি, বল সরাসরি আশ্রয় নেন জালে। তাতেই ব্রাজিলের বিপক্ষে এগিয়ে যায় উরুগুয়ে।
কিন্তু জবাব দিতে ভুল হয়নি ব্রাজিলেরও, হুবহু একই ঘরানার গোলে পাল্টা জবাব দিয়েছে তাঁরা। মিনিট পাঁচেক পরেই রাফিনহার ক্রস মার্সেলো সারাচ্চি ক্লিয়ার করলে বল পেয়ে যান গারসন। তিনি অবশ্য ভালভার্দের মত জায়গা তৈরি করে নেয়ার ধার ধারেননি, তাৎক্ষণিক ভলিতে কাঁপিয়ে দিয়েছেন সফরকারীদের জাল।
পুরো ম্যাচের হাইলাইটস অবশ্য এতটুকুই, দুই হেভিওয়েট দলের লড়াইয়ের গল্পটা সীমাবদ্ধ ছিল কেবল অল্প কয়েক মিনিট। বাকিটা সময় খোশমেজাজেই খেলেছে তাঁরা।
বিশেষ করে প্রথমার্ধে সেলেসাওদের খেলায় ছিল না ইন্টেন্সিটি, বিরতির ঠিক আগে রাফিনহার ক্রস থেকে প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের পরীক্ষা নিয়েছিলেন ইগর জেসুস। এছাড়া বলার মত কিছুই ছিল না, অধিকাংশ সময় বল দখলে রেখেও উরুগুয়ের জমাট রক্ষণে ফাটল ধরাতে পারেনি তাঁরা।
শেষদিকে অবশ্য জয়ের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল স্বাগতিকরা, কিন্তু মার্সেলো বিয়েলসার শিষ্যদের টলানো যায়নি। যেভাবেই আক্রমণ সাজিয়েছে হলুদ জার্সিধারীরা, দারুণ দক্ষতায় সেটা ঠেকিয়ে দিয়েছে।
বরাবরের মত এদিনও হতাশ করেছেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র, দলের মেইনম্যান হওয়া সত্ত্বেও তাঁর খেলায় ছিল না দায়িত্বশীলতার ছাপ। পুরো ম্যাচ মাঠে থেকেও তিনি সফল পাস খেলেছেন স্রেফ ১৭টা ! তিনটা শট নিলেও গোলপোস্টের মধ্যে রাখতে পারেননি একটাও।
আরো একবার আন্তর্জাতিক ফুটবলের সময়কাল পার হলো, রিয়াল মাদ্রিদের উজ্জ্বল ভিনি জাতীয় দলে ম্লান হয়ে যান সেই সমালোচনার সমাপ্তি ঘটা তো দূরে থাক উল্টো তীব্রতা বাড়লো আরো। সেই সাথে বাড়লো ব্রাজিলের দুর্ভোগ। পর পর দুই ম্যাচ ড্র করার সুবাদে টেবিলের পাঁচ নম্বরে পড়ে রইলো তাঁরা, নিচে পড়ে রইলো ফুটবলারদের আত্মবিশ্বাসও।