এক ছক্কায় এখনও সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে দিতে পারেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। এই বয়সে যখন উচ্চ রক্তচাপে ভোগার কথা, তখনও বরফ শীতলতা বয়ে যায় শিরায়-উপশিরায়। তিনি ম্যাচ জেতাতে এখনও আগের মত পারদর্শী। তবে..
চেন্নাই সুপার কিংসকে একেবারে কোণোঠাসা করে ফেলেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। ১৮০ রানের লক্ষ্যমাত্রা ব্যাট করতে নামা চেন্নাই একেবারে খাদের কিনারায় রীতিমত ঝুলছিল। ৬০ রানের মধ্যেই পাঁচজন ব্যাটার ফিরেছেন প্যাভিলিয়নে। এমন বিরুপ পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের এক মাত্র পথ পালটা আক্রমণ।
টগবগে তারুণ্যের কাছে পরাজয় শিরশ্ছেদের শামিল। তাইতো ডেওয়াল্ড ব্রেভিস হার মানলেন না। বরং তিনি স্রোতের বিপরীতে কঠিন পথ পাড়ি দেওয়ার ব্রত নিলেন।
স্রেফ ২৫ বলে ৫২ রান যুক্ত করলেন চেন্নাই সুপার কিংসের স্কোরবোর্ডে। সমান চারটি চার ও চারটি ছক্কায় সাজানো ২০৮ স্ট্রাইকরেটের ইনিংসটি চেন্নাইয়ের লাইফলাইনে পরিণত হয়।
ডেওয়াল্ড ব্রেভিসের ওমন সাহসিকতার শেষ পঙক্তিতে পরাজয় বেমানান। তাইতো তেমনটি হতে দেননি মহেন্দ্র সিং ধোনি। এক সময়ের বিশ্বসেরা ফিনিশার আপন ঢঙে ম্যাচের সমাপ্তি রেখা টেনে দিলেন। শেষ ওভারে হাতে থাকা দুই উইকেট বাঁচিয়ে রাখলেন শেষ অবধি। আন্দ্রে রাসেলের জুসি ফুলটসকে গ্যালারিতে পাঠিয়ে সকল সমীকরণের সমাধি রচনা করেন ধোনি।
ব্রেভিসের সাহসিকতাই এমন কঠিন ম্যাচে চেন্নাইকে ম্যাচে ফিরিয়েছে, ধোনিকে দিয়েছে নায়ক হওয়ার মঞ্চ। এখন তো আর চাইলেও ধোনি নিজ গুণে হতে পারেন না বিজয়ের মহানায়ক।