জমে উঠেছে সিলেট টেস্ট, পাল্লা ভারি বাংলাদেশের

৯ উইকেটে ৩১০ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশ স্কোর যতটা সম্ভব বাড়িয়ে নেবে— এমন একটা প্রত্যাশা পূরণেই চোখ ছিল শরিফুল-তাইজুল জুটির। তবে সেটি আর হয়নি। বাংলাদেশের ইনিংস গুটিয়ে যায় সেই ৩১০ রানেই।দিনের প্রথম বলেই শেষ ব্যাটার হিসেবে টিম সাউদির শিকার হন শরিফুল ইসলাম।

অবশ্য এর বিপরীতে বোলিংয়ে দারুণ প্রতাপই দেখিয়েছে বাংলাদেশি বোলাররা। ৩১০ রানের পুঁজি নিয়ে ২৬৬ রানেই নিউজিল্যান্ডের ৮ ব্যাটারকে ফিরিয়েছে তাইজুল, মিরাজরা। 

৩১০ রানের জবাবে কিউইদের হয়ে শুরুটা ভালই করেছিলেন ল্যাথাম ও কনওয়ে। বড় ইনিংসের পথেই এগোচ্ছিলেন এ দুই কিউই ওপেনার। তবে ১৩তম ওভারে তাইজুল ইসলামের লেগের দিকে অনেক বাইরের বলে সুইপ করতে গিয়ে শর্ট ফাইন লেগে ক্যাচ তোলেন ল্যাথাম। ৪৪ বলে ২১ রানের ইনিংসের সমাপ্তি ঘটে সেখানেই। 

এর ৩ ওভার বাদেই কনওয়েকে নিজের শিকার বানান মেহেদী হাসান মিরাজ। ইনিংসের ১৬তম ওভারে কনওয়ে মিরাজের বলে সামনে এসে ডিফেন্স করতে গিয়ে সিলি পয়েন্টে ক্যাচ তোলেন। অভিষিক্ত শাহাদাত হোসেনের বিশ্বস্ত হাত আর ভুল করেনি। দারুণ দক্ষতায় ক্যাচ ধরে কনওয়েকে ফিরিয়ে দেন ১২ রানে। 

জোড়া উইকেটের এমন ধাক্কা অবশ্য ভাল ভাবেই কাটিয়ে ওঠে নিউজিল্যান্ড। হেনরি নিকোলসের সঙ্গে ৫৪ রানের জুটি গড়ে তোলেন কেন উইলিয়ামসন। তবে সাময়িক ধাক্কা কাটিয়ে উঠলেও উইকেটে থিতু হয়েই ফিরে যান হেনরি নিকোলস। কিউই এ ব্যাটারকে কট বিহাইন্ডের ফাঁদে ফেলেন শরিফুল।

নিকোলসের মতো সেট হয়ে উইকেট খুইয়েছেন ড্যারিল মিশেলও। ৫৪ বলে ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ৪১ রান করা মিশেলকে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন তাইজুল। তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে ঠিকই নিউজিল্যান্ডের ইনিংসকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন উইলিয়ামসন। 

অবশ্য কিউই কাপ্তানকে সুযোগটা দিয়েছিল বাংলাদেশি ফিল্ডাররাই৷ ইনিংসের ৪৯তম ওভারে নাঈম হাসানের ফুল লেংথ ডেলিভারি সুইপের চেষ্টা করেন উইলিয়ামসন। টাইমিংয়ে গড়বড় হওয়ায় ক্যাচ উঠে যায় মিড উইকেটে। সহজতম সেই সুযোগটি লুফে নিতে পারেননি মিড উইকেটে থাকা তাইজুল। অথচ ৬৩ রানে তখন আউট হতে পারতেন উইলিয়ামসন। 

তাইজুলের এমন ভুলের সুযোগ নিয়ে ঠিকই পরবর্তীতে সেঞ্চুরি তুলে নেন কিউই এ অধিনায়ক। অবশ্য সেই তাইজুলই ফেরান উইলিয়ামসনকে। ১০৪ রানে বোল্ড হন এ ব্যাটার। উইলিয়ামসন আউট হওয়ার পরই মূলত ম্যাচে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দিন শেষে টাইগারদের চেয়ে পিছিয়ে কিউইরা পিছিয়ে ৪৪ রানে। আর বাংলাদেশের হয়ে একাই ৪ উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম।  

লেখক পরিচিতি

বাইশ গজ ব্যাসার্ধ নিয়ে একটি বৃত্ত অঙ্কন করার চেষ্টা করি...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link