শূন্যরানে নেই দুই উইকেট। ভারতের চোখের সামনে তখন ঝুলছে পরাজয়ের ধারালো শূল। ভুলচুক হলেই ইনিংস ব্যবধানে পরাজয়ের দণ্ড নিয়ে ছাড়তে হবে ম্যানচেস্টার। সেই শঙ্কা একেবারে নিভে না গেলেও শুভমান গিল আর লোকেশ রাহুল ‘ফাইটব্যাক’ করার সিদ্ধান্ত নিলেন।
প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের লিড ৩১১ রানের। চতুর্থ দিনের সকাল বেলায় ইংল্যান্ড অলআউট ৬৬৯ রানে। সেই সময়ে দাঁড়িয়ে ম্যাচের ফলাফল হতে পারে স্রেফ দুইটি। এক ড্র, দুই ভারতের পরাজয়। দ্বিতীয় অপশনকে জোরাল করতে চাইলেন ইংলিশ বোলাররা, বিশেষ করে ক্রিস ওকস।
রানের বিশাল পাহাড় টপকে ম্যাচ বাঁচানোর চেষ্টায় ভারত ব্যাটিংয়ে নামল। এমন পরিস্থিতি থেকে ম্যাচ জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করতে ভারতের প্রয়োজন ছিল পালটা আক্রমণে দ্রুত রান তোলা। সে কাজের জন্যে যশ্বসী জয়সওয়ালের উপর ছিল ভারতের সমস্ত আস্থা। কিন্তু জয়সওয়াল এদিন আর পারলেন না, আউট হলেন শূন্য রানে।
এরপর সাই সুদর্শনও ঠিক একই পথ ধরলেন। ভয়ের আবহ ছেয়ে গেছে ততক্ষণে ভারতের ড্রেসিংরুমে। তবে এরপরে দৃশ্যপটে ত্রাণকর্তা হয়ে হাজির অধিনায়ক শুভমান গিল ও লোকেশ রাহুল। দুইজনে দাঁড়িয়ে গেলেন ইংলিশ বোলারদের শাসনের বিপক্ষে।
দৃঢ়তায় প্রতিমূর্তি হয়ে ম্যাচকে অন্তত ড্রয়ের দিকে ঠেলে দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টাই করলেন এই দুইজনে মিলে। কিন্তু চতুর্থ দিনশেষে ওই একই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। সিরিজ হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা প্রবল। তবে ম্যাচ অন্তত বাঁচাতে পারবে তো ভারত?
শেষ দিনের প্রথম সেশন হতে চলেছে ভারতের জন্যে ভীষণ কঠিন। উইকেট ইতোমধ্যেই বিরুপ আচরণ করতে শুরু করেছে। হুটহাট বল নিচু হয়ে যাচ্ছে। পঞ্চম দিনে এর মাত্রা বাড়বে নিঃসন্দেহে। তাছাড়া ইংলিশ বোলারদের পরিকল্পনার ফাঁদ এড়ানোও বেশ কষ্টসাধ্য। যেকোন টেস্টের পঞ্চম দিনের দুই সেশন ব্যাটিং করা ভীষণ দুষ্কর।
তাছাড়া দুই সেশন ব্যাটিং করলেও যে হার এড়ানো যাবে না। প্রয়োজন হবে মোটামুটি একটা রান সংগ্রহ করা। সে কাজটা করতে না পারলে পরাজয় প্রায় নিশ্চিত। এমন পরিস্থিতিতে পঞ্চম দিনে ভারত ঠিক কোন পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামে সেটাই এখন দেখার পালা। তবে শুভমান-রাহুলের ফাইটব্যাকের পরও সামগ্রিক চিত্র ভারতের পরাজয়ই ইঙ্গিত করছে।