সিরিজ বিজয়ীর ফটোসেশনে হাসিমুখে দাঁড়াল বাংলাদেশ দল। ট্রফিটা শোভা পেল তানভির ইসলামের হাতে। নবীন ক্রিকেটার হিসেবে একটা বাড়তি ‘সম্মান’ই সতীর্থদের কাছ থেকে পেলেন তিনি। তবে, সম্মানটাই সম্ভবত এই সিরিজে তাঁর একমাত্র প্রাপ্তি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মঞ্চে বাড়তি একজন স্পিনার নিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বাংলাদেশের খুবই কম। আরেকজনের জায়গা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। তিনি মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। তিনি জিম্বাবুযের বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে চার ওভার বোলিং করে হজম করেছেন ৫৫ রান।
তাঁর বিপক্ষে ব্যাট করতে ব্রায়ান বেনেট কিংবা সিকান্দার রাজাদের কোনো বেগ পেতে হয়নি। তাঁর করা শেষ ওভারে একাই ম্যাচ বের করে নিয়েছেন সিকান্দার রাজা। ১৮ তম ওভারে সাইফউদ্দিনের বিপক্ষে ১৭ রান তোলেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক। ম্যাচটা সেখানেই শেষ।
আর তাতেই উঠছে যত প্রশ্ন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সদ্য শেষ হওয়া সিরিজে চার ম্যাচ খেলে আট উইকেট নিয়েছেন সাইফউদ্দিন। ফলে, তাঁর উইকেট নেওয়ার ক্ষমতা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। শেষের দিকে তাঁর ব্যাটিংও কার্যকর।
কিন্তু, সংকট হল সাইফউদ্দিনের খরুচে বোলিং। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও ওভারপ্রতি ৯-এর ওপরে রান দিয়েছেন এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার। আর এর শেষটা হয়েছে চার ওভারে ৫৫ রান হজম করে।
দলে থাকবেন কমপক্ষে চারজন পেসার। সেটা বেড়ে ছয় অবধিও যেতে পারে। ছয় পেসার নিয়ে গেলে সেখানে হয়তো তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ ও তানজিম হাসান সাকিবের সাথে থাকবেন সাইফউদ্দিন। কিন্তু, সংখ্যাটা এক বা দুই কমে গেলে বরং তাঁর ওপরই খড়গটা নেমে আসতে পারে।
আর সম্ভাব্য যে স্কোয়াড শোনা যাচ্ছে, তাতে বাংলাদেশের বিকল্প ব্যাটার একদম নেই বললেই চলে। সেক্ষেত্রে বোলার কমিয়ে বাড়তি ব্যাটার নেওয়ার পথেও হাঁটতে পারে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচক প্যানেল। সব মিলিয়ে সাইফউদ্দিনকে লড়তে হবে নিজের ভাগ্য, ফর্ম আর তানজিম হাসান সাকিবের বিরুদ্ধে। তানজিম সাকিবকে দিয়েও লোয়ার অর্ডারের ব্যাটিং চলে যাবে।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ আট জুন, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। দ্বিতীয় ম্যাচ ১০ জুন, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। এই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেই এক ওভারে পাঁচ ছক্কা হজমের ইতিহাস আছে সাইফউদ্দিনের। সেই পাঁচ ছক্কার নায়ক ডেভিড মিলার থাকবেন এবারের বিশ্বকাপেও। ফলে, হাত খুলে রান হজম করার ঝুঁকি এবারও থাকবে, যদি সাইফউদ্দিন টিকে যান বিশ্বকাপে।