টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জায়গা পাওয়ার দৌড়ে যশস্বী জয়সওয়ালের কাছে হেরে গিয়েছিলেন শুভমান গিল। পারফরম করেও স্বপ্নীল লক্ষ্য ছুঁতে না পারার কষ্ট অবশ্য তাঁর মনোবল ভাঙ্গতে পারেনি, নিজের মত করেই নিজের কাজ করে যাচ্ছেন। এরই ধারাবাহিকতায় চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে অতিমানবীয় এক ইনিংস খেলেছেন তিনি।
হার্দিক পান্ডিয়ার দলবদলের পর হুট করেই গুজরাট টাইটান্সের নেতৃত্ব চলে এসেছিল এই ব্যাটারের কাঁধে। তবে নেতৃত্বের চাপ তাঁর পারফরমার সত্তাকে ম্লান করতে পারেনি; টুর্নামেন্ট জুড়ে রান করেছেন অক্লান্তভাবে। সবশেষ ম্যাচে এবার তিনি হাঁকিয়েছেন সেঞ্চুরি।
আহমেদাবাদে এদিন মাত্র ৫৫ বলে ১০৪ রান করেছেন এই তরুণ। ওপেনিংয়ে নেমে অপরাজিত ছিলেন আঠারো ওভার পর্যন্ত, দলকে এনে দিয়েছেন আকাশসম সংগ্রহ। সাই সুদর্শনের সঙ্গে তাঁর ২১০ রানের ম্যারাথন জুটিতে ভর করেই রেকর্ড পুঁজি পেয়েছে গুজরাট।
শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং করেছিলেন শুভমান, প্রথম ওভারে মিচেল স্যান্টনারকে এক চার ও এক ছয় মেরে ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। এরপর কেবলই বাউন্ডারির গল্প, পাওয়ার প্লে শেষে তাঁর নামের পাশে ছিল ১৩ বলে ২৯ রান। হাফসেঞ্চুরি করতে মাত্র ২৫ বল অপেক্ষা করতে হয়েছিল তাঁকে।
যদিও ব্যক্তিগত মাইলফলক তুষ্ট করতে পারেনি এই ডানহাতিকে, চেন্নাইয়ের বোলারদের ওপর আরো আক্রমণাত্বক হয়ে উঠেন তিনি। পাওয়ার হিটিং আর ক্লাসিক্যাল শটের মিশ্রণে অপূর্ব ব্যাটিং প্রদর্শনী দেখান সেসময়। সতেরোতম ওভারে আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ, চার মেরে তিন অঙ্কের ঘরে প্রবেশ করেন এই তারকা; কেন আহমেদাবাদের রাজা ভাবা হয় তাঁকে সেটারই উত্তর আরেকবার দিয়েছেন তিনি।
চলতি আইপিএলে ইতোমধ্যে ৪০০ এর বেশি রান করেছেন গিল, তবু সেটা যথেষ্ট হয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের বিমানের টিকিটের জন্য। কিন্তু দৃঢ়চেতা এই ক্রিকেটার ঠিকই নতুন করে লড়াই করছেন। এই যে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয়, নিজের জায়গা করে নেয়ার লড়াই সেখান থেকে অনুপ্রেরণা নিতে পারেন অনেকে।