পাকিস্তানের জয়ের তরী ডুবিয়েছেন বালবির্নি

কাগজ-কলমের হিসেবকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় তুলে নিয়েছে আইরিশরা। আর এই জয়ের নায়ক অ্যান্ড্রু বালবার্নি। 

টি-টোয়েন্টিতে ছোট দল বলে কিছু হয় না; যেকোনো ম্যাচে যেকেউ জিতে যেতে পারে একটা স্পেল বা একটা ইনিংসের কল্যাণে। আয়ারল্যান্ড বনাম পাকিস্তানের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ঠিক তাই হয়েছে, কাগজ-কলমের হিসেবকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে জয় তুলে নিয়েছে আইরিশরা। আর এই জয়ের নায়ক অ্যান্ড্রু বালবার্নি, যিনি তুলনামূলক ছোট দলগুলো থেকে উঠে আসা সবচেয়ে পরিচিত তারকাদের একজন।

১৮৩ রানের বিশাল লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়ে দিয়ে বোধহয় জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছিল পাকিস্তান। তবে তাঁর একটা ইনিংস বদলে দিয়েছে সবকিছু, ওপেনিংয়ে নেমে দলকে জয়ের পথ চিনিয়েছেন তিনি।

এদিন ৫৫ বলে ৭৭ রানের অনবদ্য এক ইনিংস খেলেছেন এই ব্যাটার। ইনিংসটি খেলার পথে দুই ছক্কার বিপরীতে দশ দশটি চার হাঁকিয়েছেন তিনি; এতেই মূলত জয়ের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল স্বাগতিকদের। সবশেষে সেই সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন হ্যারি টেক্টর, জর্জ ডকরেলরা; ১৮৩ রানের লক্ষ্য টপকে বাবর আজমদের পাঁচ উইকেটে হারিয়েছেন তাঁরা।

অথচ শুরুতে পর পর দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল আয়ারল্যান্ড। কিন্তু বালবার্নি হাল ছাড়েননি একটা মুহূর্তের জন্যও, স্রোতের বিপরীতে গিয়ে শক্ত হাতে প্রতিরোধ গড়েছিলেন। দেখেশুনেই খেলেছেন তিনি, নিয়মিত স্ট্রাইক রোটেট করেছেন সেই সাথে বাজে ডেলিভারি পেলেই পাঠিয়েছেন মাঠের বাইরে।

এভাবেই ৩৬ বলে ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করে ফেলেন এই ডানহাতি। তারপর আরো খানিকটা সময় বাইশ গজে ছিলেন তিনি, ডকরেলকে সুযোগ করে দিয়েছিলেন হাত খুলে খেলার। হয়তো দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়ার সৌভাগ্য হয়নি তাঁর, তবে স্মরণীয় জয়ের মূল কৃতিত্ব তাঁকেই দিতে হবে। স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচসেরার পুরষ্কারও গিয়েছে এই তারকার ঝুলিতে।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলা নিঃসন্দেহে ইউরোপীয়ান প্রতিনিধিদের জন্য দারুণ কিছু। তবে এবার আর সিরিজটি কেবল প্রস্তুতির মাঝে আটকে রইলো না, বালবার্নি আর তাঁর দল অসামান্য পারফরম্যান্সের বদৌলতে প্রত্যাশা বাড়িয়ে দিলেন কয়েক গুণ; এখন তাই বাড়তি প্রত্যাশা পূরণে মনোযোগ দিতেই হবে তাঁদের।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...