ফরম্যাট যখন টি-টোয়েন্টি, ওয়েস্ট ইন্ডিজ তখন ভয়ঙ্কর। দলে উপস্থিত একের পর এক দানবীয় ম্যাচ উইনার, তার উপরে নিজেদের দেশে বিশ্বকাপ। টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘হট ফেভারিট’।
টুর্নামেন্টের প্রথম দিনেই স্বাগতিক দেশ হিসেবে বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করে পুরান, রাসেলরা, প্রতিপক্ষ ‘পুঁচকে‘ পাপুয়া নিউগিনি। ম্যারম্যারে, একপাক্ষিক খেলাই ছিলো সকলের প্রত্যাশা। ১৩৭ রানের লক্ষ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যখন ব্যাটিং করতে নামে, তখনও সম্ভবত কেউ ধারণা করেন নি, কি ঘটতে চলেছে পরবর্তী বিশ ওভারে।
কিন্তু মূহুর্তেই পাল্টে গেলো সব হিসেব-নিকেশ।রস্টন চেজ যখন উইকেটে আসেন, তখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ দুই উইকেট হারালেও ৮.১ ওভারে তুলে ফেলেছে ৬১ রান। জয়ের সমীকরন বেশ সহজই। কিন্তু ভোজবাজির মত পাল্টে যায় দৃশ্যপট। দ্রুত সময়ের মধ্যে আউট হয়ে ফিরে যান ব্রেন্ডন কিং, রভমান পাওয়েল এবং রাদারফোর্ড।
শেষ চার ওভারে জয়ের জন্য দরকার চল্লিশ রান, সঙ্গী শেষ স্বীকৃত ব্যাটার আন্দ্রে রাসেল, প্রতিপক্ষ হঠাৎ ভয়ানক হয়ে ওঠা ‘পুঁচকে‘ পিএনজি।’হিরো’ হয়ে ওঠার মঞ্চ প্রস্তুত, রস্টন চেজ ‘হিরো’ হয়ে উঠলেন। আঠারোতম ওভারে ভালার বোলিংয়ের বিপক্ষে ২ চার এবং ১ ছক্কায় সমীকরণ সহজ করলেন। উনিশতম ওভারে মোরেয়ার টানা দুই বলে চার হাকিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করলেন।
একইসাথে হেটমায়ারের পরিবর্তে তাকে একাদশে সুযোগ দেয়ার যৌক্তিকতাও যেন প্রমাণ করলেন।খেলা শুরুর আগেই প্রশ্ন উঠেছিলো, হেটমায়ারের মত প্রতিষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি তারকাকে বসিয়ে চেজকে খেলানো কতটুকু যৌক্তিক? ২৭ বলে ৪২ রানের অপরাজিত ইনিংসে চেজ কেবল সেই প্রশ্নের উত্তরই দিলেন না, জানিয়ে রাখলেন কঠিন পরিস্থিতিতে, স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে তিনি লড়তে জানেন, দলের তরী জয়ের বন্দরে ভেড়াতে জানেন। ম্যাচ শেষের ম্যান অব দ্যা ম্যাচ পুরষ্কার যেন সেই যুক্তির পক্ষেই কথা বলে।