কিংবদন্তির পাশে কিংবদন্তি

এক কিংবদন্তিকে আরেক কিংবদন্তির শ্রদ্ধাজ্ঞাপন। এমনই এক ছবি দেখা যাবে মোহনবাগান ক্লাবে। মোহনবাগান ক্লাবের মূল প্রবেশদ্বার হতে চলেছে চুনী গোস্বামীর নামে। বাংলা নববর্ষের সকালে সেই গেট উদ্বোধন করবেন সুনীল মনোহর গাভাস্কার

জীবদ্দশায় এক ইন্টারভিউয়ে চুনী গোস্বামী আলাদা করে উল্লেখ করেছিলেন গাভাস্কারের কথা। ১৯৭১-৭২ মৌসুমের রঞ্জি ট্রফি ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলা-বোম্বে। সেই ম্যাচের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে চুনী গোস্বামী বলেছিলেন, ‘সুনীল গাভাস্কার স্কোরড আ হান্ড্রেড এগেইনস্ট আস ইন দ্য ১৯৭১-৭২ ফাইনাল।’

গাভাস্কারের ব্যাটিং দক্ষতার কথা বলতে গিয়ে চুনী গোস্বামী বলেছিলেন, ‘নিজের ব্যাপারে দারুণ আত্মবিশ্বাসী ছিলেন গাভাস্কার। ওর স্ট্রেট ড্রাইভগুলো ছিল এক্সট্রা অর্ডিনারি।’ সেই বাংলা দলে ছিলেন দিলীপ দোশি। বাংলার সবাই ভেবেছিলেন দিলীপ দোশি হয়তো গাভাস্কার কে বড় রান করতে দেবেন না। অন্তত চুনী গোস্বামীর ইন্টারভিউয়ে তেমনই উল্লেখ রয়েছে।

কিন্তু ফাইনালে ভারতীয় ক্রিকেটের ‘লিটল মাস্টার’ খুব সহজেই সামলেছিলেন দিলীপ দোশিকে। স্মৃতিরোমন্থনে চুনী গোস্বামী উল্লেখ করেছিলেন, ‘ব্রাবোর্ন স্টেডিয়ামের উইকেট বেশ ভাল ছিল। খেলা শুরুর প্রথম এক ঘণ্টায় বল বুঝতে সমস্যা হচ্ছিল। আদারওয়াইজ গাভাস্কার ওয়াজ টু গুড।’

সেই ফাইনালের স্কোর বোর্ড খুলে একটা উল্লেখযোগ্য তথ্য দেখলাম। সুনীল গাভাস্কার প্রথম ইনিংসে ১৫৭ রান করেছিলেন। বাংলার প্রথম ইনিংসে চুনী গোস্বামী শূন্য রানে আউট হন। চুনীর ক্যাচ ধরেছিলেন স্বয়ং গাভাস্কারই। সেই গাভাস্কারই উদ্বোধন করবেন চুনীর নামাঙ্কিত গেট।

দ্বিতীয় ইনিংসে গাভাস্কার করেছিলেন মাত্র ৫ রান। চুনী গোস্বামীও করেছিলেন ৫।বোম্বে সেবারের ফাইনাল জিতেছিল ২৪৬ রানে। ওই ফাইনালে বাংলার সমর চক্রবর্তী প্রথম ইনিংসে ৩টি এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ২টি উইকেট নিয়েছিলেন। সমর চক্রবর্তী আমাদের বন্ধু সাংবাদিক শিবাজি চক্রবর্তীর বাবা। বাবাকে নিয়ে বই লিখেছেন শিবাজি। নাম অফ কাটার। শিবাজির বইয়ে রয়েছে অনেক মণিমুক্তা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link