টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন তারা। দলেও দেশি,বিদেশি তারকার কোনো অভাব নেই। তবুও এতদিন জয় শূন্য থাকাটা বেশ বেমানান ছিলো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সদের জন্য। অবশেষে হারের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে পয়েন্টের খাতা খুললো ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। বোলারদের সম্মিলিত পারফরম্যান্সের পর টুর্নামেন্টে প্রথমবার লিটন দাসের ‘লিটন দাস’ হয়ে ওঠাতে সহজ জয় নিয়েই মাঠ ছেড়ে তিন বারের বিপিএল চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা।
জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রথমেই ধাক্কা খায় চট্টগ্রাম। তানভীর ইসলামের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান উসমান খান। এরপর ম্যাক্স ও’দাউদ আর আফিফ আশার আলো দেখান চট্টগ্রামকে। কিন্তু সেট হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি আফিফ। ২১ বলে ৬ টি বাউন্ডারিতে ২৯ রান করে মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধর শিকার হন আফিফ।
এরপর বেশিক্ষন টেকেননি ও’দাউদও। ২৪ বলে ২৪ রান করে মোসাদ্দেকের শিকার তিনি। ও’দাউদের পর ইরফান শুক্কুরকেও ফেরান মোসাদ্দেক। এরপর জিয়াউর রহমান, দারউইশ রসুল দ্রুত ফিরে গেলে বিপাকে পরে স্বাগতিকরা। ৯৮ রানেই ৭ উইকেট হারিয়ে রীতিমতো বিপর্যস্ত চট্টগ্রাম।
তখন লড়াই করার মত পুঁজি পাওয়াই মূল লক্ষ্য হয়ে ওঠে চ্যালেঞ্জার্সদের জন্য। এমন পরিস্থিতিতে দলকে টেনে তুলেছেন অধিনায়ক শুভাগত। ২৩ বলে অপরাজিত ৩৭ রানের ইনিংসে ৪ টি চার আর একটি ছক্কা মারেন চট্টগ্রাম অধিনায়ক। কুমিল্লার বোলারদের মধ্যে দুটি উইকেট নেন তানভীর, মোসাদ্দেক আর খুশদিল শাহ। ১৩৬ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায় কুমিল্লার সামনে।
ছোট লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা পায় কুমিল্লা। লিটন দাস আর মোহাম্মদ রিজওয়ানের অসাধারণ পার্টনারশিপ কুমিল্লাকে অনেকটাই এগিয়ে দেয় জয়ের পথে। টুর্নামেন্টের প্রথম তিন ম্যাচে রান না পাওয়া লিটন দাস স্ট্রোকের ফুলঝুরি ছোটান চট্টলার মাঠে। চারটি চার আর তিনটি ছক্কায় সাজানো লিটনের ইনিংস চট্টলার দর্শকদের জন্য ছিলো অন্যরকম পাওয়া। হোম টিম চট্টগ্রামের বোলারদের অসহায় বানিয়ে ২২ বলে ৪০ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন লিটন।
পাওয়ার প্লে শেষ হবার আগেই কুমিল্লার স্কোরবোর্ডে তখন পঞ্চাশোর্ধ রান। দলীয় ৫৫ রানে মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরির শিকার হন লিটন। এরপর তিন নাম্বারে নামা ইমরুল কায়েস ২৯ রানের জুটি গড়েন মোহাম্মদ রিজওয়ানের সাথে। এক চার ও এক ছক্কায় ১৩ বলে ১৫ রান করে আউট হন কুমিল্লার অধিনায়ক।
এরপর জনসন চার্লস রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরের পথ ধরেন। কিন্তু এক প্রান্ত আগলে ছিলেন পাকিস্তানের মোহাম্মদ রিজওয়ান। জাকের আলি বেশ কিছুক্ষন রিজওয়ানকে সঙ্গ দিলেও ২৩ বলে ২২ রান করে আউট হন তিনিও।
শেষ পর্যন্ত ৩৫ বলে ৩৭ রানে অপরাজিত থেকে দলকে টুর্নামেন্টের প্রথম জয় এনে দেন রিজওয়ান। ৬ উইকেটে জিতে পয়েন্টের খাতা খুললো ভিক্টোরিয়ান্সরা।
নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে এসে প্রথম জয়ের দেখা পেলো বর্তমান চ্যাম্পিয়ম কুমিল্লা। চার ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের পাঁচে আছে লিটন, মোস্তাফিজরা। অন্যদিকে পাঁচ ম্যাচ খেলে দুই জয় আর তিন হারে চার পয়েন্ট চট্টগ্রামের।