রিকি পন্টিং নিপাট ভদ্রলোক। ঠাণ্ডা মেজাজের জন্য তাঁর জুড়ি মেলা যেমন কঠিন, কিন্তু অজি ঐতিহ্যের জন্য তাঁকে তাতিয়ে তোলাও খুব কঠিন নয়। আর, প্রিন্স অব ক্যালকাটা খ্যাত সৌরভ গাঙ্গুলির মেজাজটাই তো আসল রাজা।
প্রথম ম্যাচে পাঞ্জাব কিংসের কাছে হারের পর ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে রাজস্থান রয়্যালসের মুখোমুখি হয়েছিল দিল্লী ক্যাপিলাস। যদিও রোমাঞ্চকর লড়াই শেষে জয় থেকে ১২ রান দূরেই থামতে হয়েছিল তাঁদের। তবে ম্যাচের ফলাফলের পাশাপাশি আলোচনায় উঠে এসেছে বিতর্কিত একটি ঘটনা; যেখানে জড়িয়ে আছে রিকিং পন্টিং, সৌরভ গাঙ্গুলির নাম।
ম্যাচের তখন দ্বিতীয় ইনিংস চলমান, বদলি ফিল্ডার হিসেবে রোভম্যান পাওয়েলকে মাঠে নামিয়েছিল রাজস্থান। তাতেই প্রতিবাদ করে উঠেন পন্টিং আর গাঙ্গুলি; দু’জনেই চতুর্থ আম্পায়ারের সাথে উত্তপ্ত বাক্য বিনিয়ম করেন এসময়। দিল্লির ডাগআউটেও ছড়িয়ে পড়ে সেই উত্তাপ।
মূলত আইপিএলের নিয়ম অনুযায়ী রোভম্যানকে ফিল্ডার হিসেবে ব্যবহার করার সুযোগ ছিল না। এই ব্যাপারটি আম্পায়ারদের নজরে আনার চেষ্টা করেছিলেন দিল্লীর কোচ এবং মেন্টর।
১.২.৫ নং নিয়মে বলা হয়েছে কোন দল শুরুর একাদশে চারজনের বেশি বিদেশি ক্রিকেটার খেলাতে পারবে না। এরপর ১.২.৬ নং নিয়মে আবার বলা হয়েছে ম্যাচের কোন অবস্থাতেই মাঠে চারজনের বেশি বিদেশি ক্রিকেটারকে রাখা যাবে না। মানে, কোন দল সবমিলিয়ে সর্বোচ্চ চারজন বিদেশি তারকাকে ব্যবহার করতে পারবে।
এদিন সাঞ্জু স্যামসনের দল শুরুর একাদশে জস বাটলার, শিমরন হেটমায়ার এবং ট্রেন্ট বোল্টকে রেখেছিল। এরপর বোলিং ইনিংসের আগে হেটমায়ারের পরবর্তীতে ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’ হিসেবে নান্দ্রে বার্গারকে মাঠে নামায় তাঁরা। অর্থাৎ ততক্ষণে চারজন বিদেশির কোটা পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু, টুর্নামেন্টের নিয়ম উপেক্ষা করে উইন্ডিজ অলরাউন্ডারকে ফিল্ডিং করতে পাঠায় টিম ম্যানেজম্যান্ট।
এসব নিয়ে কয়েক মিনিট উত্তেজনা ছড়ায় স্টেডিয়ামে, তবে সেটা ছাপিয়ে যেতে পারেনি দুই দলের ব্যাট বলের দ্বৈরথকে। রিয়ান পরাগের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পর যুজবেন্দ্র চাহাল ও নান্দ্রে বার্গারের জোড়া উইকেট রাজস্থানকে জয় এনে দিয়েছিল; অন্যদিকে ট্রিস্টান স্টাবস ছিলেন ট্র্যাজিক হিরো হয়ে, প্রায় একাই ম্যাচ জেতানোর কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি কিন্তু শেষটা আর সুন্দর হয়নি।