অস্ট্রেলিয়ার জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে ক্রিকেট। বিশ্বের দ্বিতীয় ধনী ক্রিকেট বোর্ড ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। অথচ, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ১১.৩ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার, অর্থাৎ বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় সাড়ে ৮২ কোটি টাকার ক্ষতি গুনেছে। মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার বার্ষিক সাধারণ সভায় এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। ফলে, বোঝাই যাচ্ছে, ক্রিকেট থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে শুরু করেছে অস্ট্রেলিয়ার দর্শকরা।
এই ক্ষতির খবর ক্রিকেট দুনিয়ায় বিস্ময় ছড়িয়েছে। কারণ, গেলো গ্রীষ্মেই অস্ট্রেলিয়া আয়োজন করেছিল ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ সিরিজ — পাঁচ ম্যাচের বোর্ডার–গাভাস্কার ট্রফি। ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার এই সিরিজে বিপুল দর্শক উপস্থিতি ও রেকর্ড টেলিভিশন রেটিং থাকা সত্ত্বেও আর্থিক ঘাটতি কাটাতে পারেনি বোর্ড।

সিএর প্রধান নির্বাহী টড গ্রিনবার্গ ও চেয়ারম্যান মাইক বেয়ার গণমাধ্যমের সামনে ক্ষতির বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তবে তারা এটিকে অপ্রত্যাশিত বলে মনে করছেন না। তাদের ধারণা, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের মধ্যেই বোর্ড আবারও মুনাফায় ফিরবে। সে লক্ষ্যে আগামী মৌসুমে ভারত–অস্ট্রেলিয়ার পূর্ণাঙ্গ হোয়াইট বল সিরিজ ও ঐতিহাসিক অ্যাশেজ সিরিজ আয়োজনের পরিকল্পনা করছে তারা।
অর্থনৈতিক ধাক্কা সামাল দিতে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ইতোমধ্যে কিছু ব্যয় কমিয়ে আনার পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ইনডোর ক্রিকেট ও ঘরোয়া চ্যাম্পিয়নশিপে অর্থায়ন বন্ধ করা।

অন্যদিকে, জনপ্রিয় বিগ ব্যাশ এখনো সম্পূর্ণভাবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, যেখানে আইপিএলসহ অন্যান্য ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলো বেসরকারি মালিকানায় পরিচালিত হয়। গ্রিনবার্গের মতে, বোর্ড-নিয়ন্ত্রিত এই মডেলটির কিছু সুবিধা থাকলেও আর্থিক ঝুঁকিও কম নয়। তাই বিবিএলকে ব্যক্তিগত মালিকানায় হস্তান্তরের পরিকল্পনাও বিবেচনায় রয়েছে।










