ওটাভিও বল নিয়ে একটু এগিয়ে গিয়েছিলেন গোলপোস্টর দিকে, এরপর আলতো করে ব্যাকপাস দিয়েছেন। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো সেই পাসটা পেয়েছেন ডি বক্সের ঠিক বাইরে, তবু গোলের জন্য দুইবার ভাবতে হয়নি তাঁকে। সরাসরি শট নিয়েছেন, বল সরাসরি আশ্রয় নিয়েছে জালে!
সেই গোলে এগিয়ে গিয়েছিল আল নাসের, তবে জয় নিশ্চিত হয়নি। বিশেষ করে সুলতান আল গানাম এবং ফরটুউনিসের পাল্টাপাল্টি গোলে ম্যাচ জমে গিয়েছিল। রোনালদো তাই এগিয়ে এসেছেন, পূর্ণ তিন পয়েন্ট নিশ্চিত করেছেন নিজেই।
ম্যাচের শেষদিকে ফাঁকায় বল পেয়ে যান সাদা হাকাইয়ী। গোলরক্ষকের দিকে অনেকটা এগিয়ে এরপর স্কয়ার পাসে তিনি খুঁজে নেন রোনালদোকে, বাকি কাজ করাটা মোটেও কঠিন কিছু ছিল না। তাতেই আল খালিজের হার পুরোপুরি নিশ্চিত হয়নি।
কেবল গোল নয়, পর্তুগিজ তারকা এদিন খেলেছেন নিজের সেরাটা দিয়েই। আক্রমণে গোলের সুযোগ তৈরির পাশাপাশি রক্ষণভাগকেও সাহায্য করেছেন তিনি। বল ক্লিয়ারেন্সে দারুণ দৃঢ়তা দেখিয়েছেন তিনি – স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচসেরার পুরষ্কার উঠেছে তাঁর হাতে।
এর আগে অবশ্য আল তাইওয়ানের বিপক্ষে গোল করতে পারেননি রোনালদো। টানা পাঁচ ম্যাচ গোল করার পর বিরতি পড়ে গিয়েছিল, সেটা বোধহয় পছন্দ হয়নি তাঁর। সেজন্যই মনের জেদ মিটিয়েছেন খালিজের বিপক্ষে।
সবমিলিয়ে সৌদি প্রো লিগে এই স্ট্রাইকারের গোল এখন পর্যন্ত ১৩টা; স্রেফ ১৫ ম্যাচেই অর্জনের ভারে খুইয়ে পড়ছেন তিনি, প্রতি ম্যাচে গড়ে প্রায় এক গোল পেয়েছেন। লিগে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় শীর্ষস্থান তাঁর দখলেই আছে স্বাভাবিক। এতটুকুই নয়, এই ফরোয়ার্ডের অ্যাসিস্টও আছে দুইটা। যদিও এতকিছুর সত্ত্বেও টেবিল টপার হিলালের চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলে ১১ ওয়েন্টে পিছিয়ে আছে তাঁরা।
সম্প্রতি আল নাসেরের সঙ্গে নতুন চুক্তি নিয়ে সম্মতিতে পৌঁছেছেন রোনালদো। নতুন চুক্তি অনুযায়ী বিশ্বের সবচেয়ে পারিশ্রমিকের ফুটবলার হবেন তিনিই – তবে এমন কিছু যে তাঁর অর্জন সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।