সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার মনে করা হয় তাকে। ইউরোপীয় ফুটবলে লিওনেল মেসির সাথে তাঁর প্রায় দেড় দশকের প্রতিদ্বন্দ্বিতা ফুটবল ইতিহাসেই ঠাই করে নেবে অনায়াসে। বর্নাঢ্য ইউরোপ ক্যারিয়ারের ইতি টানে ক্যারিয়ারের পড়ন্ত বিকেলে সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসেরে যোগ দিয়েছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। আল নাসেরও তাকে বরণ করে নিয়েছে রাজার মতই। কিন্তু মাঠের অধ্যায়টা মোটেই ভাল যাচ্ছে না রোনালদোর।
সৌদি সুপার কাপের সেমিফাইনালে আল ইত্তিহাদের কাছে ৩-১ গোলে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিতে হয়েছে আল নাসেরের। আল নাসেরের জার্সিতে প্রথম এমন নক আউট ম্যাচ খেলতে নেমে আলো ছড়াতে ব্যর্থ ইউরোপীয় শ্রেষ্ঠত্বের আসর চ্যাম্পিয়নস লিগের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা রোনালদো।
তবে লিওনেল মেসির সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আঁচটা যেন এশিয়ার মাটিতেও টেনে এনেছেন এই পর্তুগীজ সুপারস্টার। ম্যাচের পর আল ইত্তিহাদের সমর্থক বারবার ‘মেসি, মেসি’ ধ্বনির রব তোলেন স্টেডিয়ামে।
সৌদি আরবের কিং ফাহাদ স্টেডিয়ামে সৌদি সুপার কাপের ফাইনালে ওঠার সুযোগ ছিল আল নাসেরের সামনে। এই মাঠেই কদিন আগে লিওনেল মেসির পিএসজির বিপক্ষে সৌদি লিগের অলস্টার একাদশের হয়ে মাঠে নেমেছিলেন রোনালদো। সেদিন পিএসজির কাছে হেরেই মাঠ ছাড়তে হয়েছিল রোনালদোকে। এবার আবারো সেই মাঠে আল নাসেরের হয়ে খেলতে নেমে রীতিমত বিদ্রুপের শিকার তিনি।
পুরো ম্যাচে রোনালদোকে খুঁজেই পাওয়া যায়নি মাঠে। একদম নিষ্প্রভ একটি দিন কাটিয়েছেন পর্তুগীজ এই মহাতারকা। সেই জেরেই কিনা ইউরোপ ছেড়ে এশিয়ায় এসেও নিজের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বীর নামেই জয়ধ্বনি শুনতে হল রোনালদোকে।
আল ইত্তিহাদের দর্শকরা রীতিমত মেসির নামে মুখর করে তোলেন পুরো কিং ফাহাদ স্টেডিয়ামকে। যদিও মেসির নামের এই জয়ধ্বনিতে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাননি রোনালদো। মাঠ থেকে বেরিয়ে সোজা ড্রেসিংরুমে চলে গেছেন তিনি।