হৃদয়ের সেঞ্চুরিতে কুমিল্লার প্রতিশোধ

উদ্বোধনী ম্যাচেই দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে হেরে বসেছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। তবে পরের দেখায় ঠিকই প্রতিশোধ নিলো লিটন দাস, মুস্তাফিজুররা। আর এর নেপথ্যে তাওহীদ হৃদয়। তাঁর অপরাজিত সেঞ্চুরিতে ভর করে রোমাঞ্চকর এক জয় চিনিয়ে এনেছে দলটি।

আগে ব্যাট করতে নেমে চতুরাঙ্গা ডি সিলভাকে এদিন ওপেনিংয়ে পাঠায় ঢাকা। তবে কাজে লাগেনি এই কৌশল, সিলভা ফিরেছেন ১৪ রানে। যদিও আরেক ওপেনার নাইম শেখ ছিলেন দুর্দান্ত, সাইফ হাসানকে সঙ্গে নিয়ে পাওয়ার প্লের পুরো ফায়দা লুটেছেন তিনি। দুজনের দারুণ ব্যাটিংয়ে ছয় ওভারে ৫৫ রান নিতে সক্ষম হয় দলটি।

এরপরও ছুটতে থাকেন তাঁরা, বারো ওভারেই দলীয় সংগ্রহ শতক পেরিয়ে যায়। ততক্ষণে ৩১ বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন নাইম, ৩৯ বলে একই কীর্তি স্পর্শ করেন সাইফও। ১৭তম ওভারে এই দুই ব্যাটার সহ তিনজনে ফিরিয়ে কুমিল্লাকে ম্যাচে ফেরান ফোর্ড।

অবশ্য অ্যালেক্স রস আর এসএম মেহরাব প্রত্যাশা পূরণ করেন শেষদিকে। এই দু’জনের ছোট কিন্তু কার্যকরী ক্যামিওতে ১৭৫ রানের পুঁজি পায় তাসকিনের দল।

রান তাড়া করতে নেমেই ডাউন দ্য উইকেটে এসে ছক্কা মেরে ভাল কিছুর ইঙ্গিত দেন লিটন। কিন্তু তাঁকে পাঁচ বলের বেশি টিকতে দেননি শরিফুল। এই পেসার এরপর আউট করেন ইমরুল কায়েসকেও, মাঝে ওপেনার উইল জ্যাকস আটকা পড়েছিলেন রান আউটের ফাঁদে। ফলে ২৩ রানে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।

বিপর্যয় সামলে দলের হাল ধরেন তাওহীদ হৃদয়। অভিষিক্ত ব্রুক গেস্টকে সঙ্গে নিয়ে দলকে ম্যাচে ফেরান তিনি। তাঁর ৩২ বলে হাফসেঞ্চুরির কল্যাণে জয়ের সম্ভাবনা বেড়ে গিয়েছিল অনেকটা। কিন্তু ৩৪ করে গেস্ট আউট হলে শঙ্কা জেগে ওঠে। সেই শঙ্কা মুহুর্তের মাঝে উড়িয়ে দেন হৃদয়, এক ওভারে হাঁকান তিন ছয়।

অবশ্য তখনো চার ওভারে ৪১ রান প্রয়োজন ছিল, সেই সমীকরণ প্রায় একাই মিলিয়ে ফেলেন তিনি; সেই সাথে পূর্ণ করেন টি-টোয়েন্টিতে নিজের প্রথম শতক, চলতি বিপিএলেরও এটি প্রথম তিন অঙ্কের ইনিংস ছিল। শেষপর্যন্ত তাঁর ৫৭ বলে ১০৮ রানে ভর করে পাঁচ উইকেটের জয় পেয়েছে কুমিল্লা। সেই সাথে টুর্নামেন্ট থেকে প্রায় ছিটকে গিয়েছে শরিফুল, নাইমরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link