বোলিংটাই কি ভুলে গেলেন মুস্তাফিজ?
শুরুটা করেছিলেন সাইফ হাসান। এরপর নাইম শেখ। দুই দেশি ব্যাটারের বিপরীতেই এ দিন রীতিমত অসহায় বনে গিয়েছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। ইনিংসের ৬ষ্ঠ ওভারে বোলিং প্রান্তে এসেই চার হজম। মুস্তাফিজের বাজে বোলিংয়ের শুরু সেখান থেকেই। এরপর তিনি রীতিমত বিধ্বস্ত হয়েছেন নাইম শেখের তাণ্ডবে। প্রথম ওভারে ২২ রান হজম করে এ দিন বোলিংটাই ভুলতে বসেছিলেন এ পেসার।
শুরুটা করেছিলেন সাইফ হাসান। এরপর নাইম শেখ। দুই দেশি ব্যাটারের বিপরীতেই এ দিন রীতিমত অসহায় বনে গিয়েছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। ইনিংসের ৬ষ্ঠ ওভারে বোলিং প্রান্তে এসেই চার হজম। মুস্তাফিজের বাজে বোলিংয়ের শুরু সেখান থেকেই। এরপর তিনি রীতিমত বিধ্বস্ত হয়েছেন নাইম শেখের তাণ্ডবে। প্রথম ওভারে ২২ রান হজম করে এ দিন বোলিংটাই ভুলতে বসেছিলেন এ পেসার।
অবশ্য পুরোনো ঝাঁজ তো উবে গেছে সেই কবেই। মুস্তাফিজ যেন এ সময়ে এসে সূর্যের আলোতে ধীরে ধীরে উবে যাওয়া পাহাড়ের বরফ। যতটা প্রতিভা নিয়ে এসেছিলেন, সেভাবে ডানা মেলতে পারেননি পরবর্তীতে। পেসারদের মধ্যে একমাত্র বৈশ্বিক তারকা হয়েও শেষ কয়েক বছর নিজেকে চেনাতে ব্যর্থ হয়েছেন এ পেসার।
পেসারদের বিপ্লবের কালে তিনি পিছিয়েছেনই শুধু। সেই স্রোতে বিপিএলের মঞ্চেও যেন নিজের চেনা ছন্দে নিজেকে ফেরাতে পারলেন না। এখন পর্যন্ত ৭ ম্যাচে ৮ উইকেট নিয়েছেন। কিন্তু ইকোনমি রেটটা গিয়ে ঠেকেছে ৯.২১-এ।
দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে এ দিন নিজের ৪ ওভারের বোলিং কোটাটাই পূরণ করতে পারেননি দ্য ফিজ। নিজের প্রথম ওভারেই ৩ চারের বিপরীতে একটা ছক্কা হজম করেন তিনি। এরপর অবশ্য ইনিংসের ১৪তম ওভারে আবারো বোলিংয়ে ফিরেছিলেন। কিন্তু সে ওভারেও তিনি খরচ করেন ১১ রান। অধিনায়ক লিটন আর এরপর তাঁর উপর ভরসাই করেননি।
অবশ্য তার পিছনে যৌক্তিক কারণটাও যে ততক্ষণে প্রকাশ্য হয়েছে। নিজের এ দুই ওভার করতে গিয়েই ৩ টি ওয়াইড দেন এ পেসার। অর্থাৎ প্রতিপক্ষের তাণ্ডবের বিপরীতে বলের লাইন লেন্থই হারিয়ে ফেলেন তিনি। একই সাথে ওই ২ ওভারে ঠিক লাইনে বলই করতে ব্যর্থ হন ফিজ। ফলশ্রুতিতে পরে আর তাঁর উপর ভরসা করে উঠতে পারেনি লিটন।
মুস্তাফিজের ছন্দহীনতার দিনে বড় একটা মাশুলই দিতে হয়েছে কুমিল্লাকে। পাওয়ার প্লে-তে বোলিংয়ে এসে মুস্তাফিজ যেভাবে রান দিয়েছিলেন, সেই রানগতি আর থামানো যায়নি পরে ওভারগুলোতেও। আর তাই স্কোরবোর্ডে ১৭৫ রান জমা করেছে দুর্দান্ত ঢাকা।