গত ৬ নভেম্বর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চলাকালীন সিডনিতে শ্রীলঙ্কার টিম হোটেল থেকে এক মহিলাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় দানুশকা গুণাথিলাকাকে। তাঁর বিরুদ্ধে সিডনির ২৯ বছর বয়সী এক মহিলা ইচ্ছার বিরুদ্ধে যৌন কার্যকলাপের অভিযোগ করেন বলে জানায় সিডনির স্থানীয় পুলিশ।
পুলিশের বরাত দিয়ে আরও জানা যায়, বিশ্বকাপ চলাকালীন সময়ে এক ডেটিং অ্যাপসের মাধ্যমে তাদের পরিচয় হয়। পরবর্তীতে গুণাথিলাকা সেই মহিলাকে তাঁর হোটেলের রুমে দেখা করতে ডাকলে সেখানেই তাকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতন করে বলে অভিযোগ করেন সেই মহিলা।
বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভ থেকে বাদ পড়লে শ্রীলঙ্কা দল তাকে অস্ট্রেলিয়াতে রেখেই দেশে ফেরত আসে। এর আগে দুইবার জামিন শুনানি হলেও তাতে জামিন পান নি গুণাথিলাকা। অবশেষে তৃতীয় বারের শুনানিতে ১১ দিন কারাভোগ করার পরে তাকে জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত।
কিন্তু এই জামিনে থাকাকালীন সময়ে বেশ কিছু নির্দেশনা মেনে চলতে হবে গুণাথিলাকাকে। যেমন তিনি জামিনে থাকাকালীন তার আইনজীবীর উপস্থিতি ব্যতীত নিজের ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করতে পারবেন না।
শ্রীলঙ্কার হয়ে ৪৭ ওয়ানডে এবং ৪৬ টি টোয়েন্টি খেলা এই ওপেনার ব্যাটসম্যান পারবেন না ব্যবহার করতে কোনো ডেটিং অ্যাপসও। এমনকি জামিনে মুক্তি পেলেও আদালতের কাছে তাঁর পাসপোর্ট জমা দেয়া থাকায় আপাতত ভাবে এই ব্যাটসম্যান অস্ট্রেলিয়ার বাইরেও যেতে পারবেন না।
যেদিন অস্ট্রেলিয়ার পুলিশ গুণাথিলাকার গ্রেপ্তারের খবর জানায়, তার পরদিনই শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট বোর্ড তাকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সাসপেন্ড ঘোষণা করেছে। সাথে সাথে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড নিজস্ব তদন্ত কমিটি গঠন ও করেছে এই ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে।