এবি ডি ভিলিয়ার্স থামছেনই না। কিংবদন্তিদের টুর্নামেন্টে প্রতাপের সাথে জ্বলজ্বল করছে সেই পুরনো নক্ষত্র। টানা দু’টো ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকালেন নিজের আপন ঢঙে। ওপেনিংয়ে শুরু হওয়া ক্যারিয়ারটার যত আক্ষেপ, তার সবটুকুই যেন তিনি দক্ষিণ আফ্রিকা চ্যাম্পিয়ন্সের হয়ে মিটিয়ে নিচ্ছেন।
৪১ বলে সেঞ্চুরি পর, আবার ৩৯ বলে সেঞ্চুরি করলেন সাবেক এই প্রোটিয়া ব্যাটার। ক্যারিয়ারে তিনি ৩৬০ ডিগ্রি তকমা পেয়েছিলেন। বয়স বেড়েছে, দীর্ঘ বিরতির পর বাইশ গজে ফিরেছেন- তবে সেই সত্ত্বা মোটেও হারিয়ে ফেলেননি। আজও তার বিপক্ষে বোলিং করা বেশ দুরূহ কাজ।
অস্ট্রেলিয়া চ্যাম্পিয়ন্সের বিপক্ষে চিরায়ত ভঙ্গিমায় ব্যাট চালিয়েছেন। ১৫ খানা চার আর নয় খানা ছক্কা হাঁকিয়েছেন, বাউন্ডারিতেই হয়ে গেছে সেঞ্চুরি! ৪৬ বলে ১২৩ রানে আউট হয়েছেন প্রোটিয়া কিংবদন্তি।
তার ব্যাটিং দেখে যেন মনে হচ্ছে পেশাদার কোন ক্রিকেটার খেলছেন অপেশাদার কোন ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। অথচ প্রতিপক্ষে থাকা প্রত্যেকেই একসময় দাপিয়ে বেড়িয়েছেন ক্রিকেট ময়দান।
কিন্তু ভিলিয়ার্সের সেসবে নেই কোন ভ্রুক্ষেপ। বাইশ গজে তিনি চির তরুণ। ওই শক্ত মাটি যেন বনে যায় টাইমমেশিন। ডি ভিলিয়ার্সকে ফিরিয়ে নিয়ে যায় তার কৈশর কিংবা তারুণ্যের বর্ণালি সময়ে। তিনি উপভোগ করেন। তিনি আগ্রাসনের প্রতিমূর্তি অঙ্কন করেন। তাইতো ব্রেট লি’র মত বোলারদেরও তোয়াক্কা করেন না। ছক্কা হাঁকান বলে কয়ে।
কিংবদন্তিদের বিশ্ব আসরে টানা তিন ম্যাচেই পঞ্চাশোর্ধ ইনিংস খেলে ফেলেছেন ভিলিয়ার্স। এর মধ্যে স্রেফ একবার আউট হয়েছেন। সেঞ্চুরি তার দু’টো। কে বলবে তিনি ক্রিকেট থেকে দূরে ছিলেন বিগত চার বছর ধরে? তার ব্যাটিং প্রতিটা মুহূর্তে আক্ষেপ বাড়াচ্ছে। ক্রিকেট ময়দানের এমন শিল্পীদের বয়স কেন বাড়ে?