১১ হাতে বল করে ম্যাচ জেতাই!

তবে ইতিহাস বদলে দিয়েছে তারা। এর আগে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে এক ম্যাচে নয়জন বোলারের বোলিংয়ের রেকর্ড ছিল। তবে ১১জনই বোলিংয়ের রেকর্ড এটিই প্রথম। এমনকি টেস্ট ক্রিকেটেও এমন রেকর্ড বিরল। সবশেষে ২০০২ সালে স্বদেশি সৌরভ গাঙ্গুলি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ১১ জন বোলার ব্যবহার করেছিলেন।

সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফিতে এক অদ্ভুত রেকর্ড করল দিল্লি। মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে দিল্লির একাদশের ১১জনই বোলিং করলেন মনিপুরের বিপক্ষে।

শুরুতে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে মনিপুর। সেখানেই নিজের এমন পাগলাটে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করলেন অধিনায়ক আয়ুশ বাদোনি। নিজেই উইকেটরক্ষক ব্যাটার তিনি, তবে এদিন দুই ওভার হাত ঘুরিয়ে এক মেইডেনের পাশাপাশি তুলে নেন একটি উইকেটও।

দিল্লির আঁটসাঁট বোলিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে আট উইকেট হারিয়ে মাত্র ১২০ রান তুলে মনিপুর। দিগভেশ, হার্শ তিয়াগি এদিন দুইটা করে উইকেট নেন। অন্যদিকে প্রিয়ানশ আরিয়া, আয়ুশ সিং, আয়ুশ বাদোনি একটি করে উইকেট নেন। ।

এগারোজন মিলে প্রতিপক্ষকে অলআউট করতে না পারলেও ইতিহাস বদলে দিয়েছে তারা। এর আগে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে এক ম্যাচে নয়জন বোলারের বোলিংয়ের রেকর্ড ছিল। তবে ১১জনই বোলিংয়ের রেকর্ড এটিই প্রথম।

এমনকি টেস্ট ক্রিকেটেও এমন রেকর্ড বিরল। সবশেষে ২০০২ সালে স্বদেশি সৌরভ গাঙ্গুলি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ১১ জন বোলার ব্যবহার করেছিলেন। অর্থাৎ গত দুই দশকের বেশি সময় ধরে এমন কোন ঘটনা ঘটেনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে।

দিল্লির এই উদ্ভাবনী ট্যাক্টিস তাদের স্কোয়াডের ফ্লেক্সেবিলিটি ও গভীরতার জানান দেয়। ক্রিকেটের এই ছোট্ট সংস্করণটায় এমন অপ্রত্যাশিত পরিকল্পনার বাস্তবায়ন খুবই কম দেখা যায় – তবে দিল্লির একাদশে অলরাউন্ডারের অতি আধিক্য নতুন ইতিহাস তৈরি করলো।

Share via
Copy link