বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণে প্রায় সময়ই নেতৃত্ব দেন স্পিনাররা। কিন্তু উপমহাদেশের বাইরে গেলে পেসাররাই বেশি কার্যকরী। কিন্তু পেস বান্ধব উইকেটেও ধুঁকতে দেখা যায় বাংলাদেশের পেসারদের। তবে দলের প্রধান কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো আশাবাদী খুব দ্রুতই টেস্ট ম্যাচ জেতাবেন পেসাররা।
বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি পাঁচ জনের চারজনই স্পিনার। সাকিব আল হাসান, তাইজুল ইসলাম, মেহেদী হাসান মিরাজ ও মোহাম্মদ রফিকের পর রয়েছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা ও শাহাদাত হোসেন রাজিব। মাশরাফি শাহাদাত ছাড়া আর কোন পেসারের টেস্টে ৫০ উইকেটই নেই।
টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে সর্বশেষ কোন পেসার পাঁচ উইকেট পেয়েছে প্রায় আট বছর আগে। ২০১৩ সালে এই জিম্বাবুয়ে সফরেই পরপর দুই ম্যাচে পাঁচ উইকেট পেয়ে ছিলেন রবিউল ইসলাম। এরপর আর কোন পেসার পাঁচ উইকেট পাননি। রাসেল ডোমিঙ্গো আশাবাদী পেসারদের এই দৈন্যদশা কেটে যাবে দ্রুতই।
তিনি বলেন, ‘আমি সব সময় একটা কথা বলে এসেছি, পেসারদের উন্নতি নিয়ে আমি আসলে খুবই খুশি। তারা খুবই কঠোর পরিশ্রম করেছে। কিছু সাফল্য তাদের পাওয়া উচিত। ফলাফল সব সময় হয়তো তাদের পক্ষে আসেনি। তবে তারা পেস বোলিং কোচ গিবসনের সাথে দারুণ কাজ করছে।’
ডোমিঙ্গো আরো বলেন, ‘তারা পরিশ্রম করতে কখনো অবহেলা করেনি। টেস্ট ম্যাচ খেলার দিক দিয়ে তারা অনভিজ্ঞ হতে পারে। তবে তারা অনেক পরিশ্রম করেছে। আমি মনে করি গত ১৮ মাসে তারা অনেক উন্নতি করেছে। আমার কাছে মনে হয় সেই দিনটা খুব বেশি দূরে নয়। যেই দিন এক জন পেস বোলার আমাদের টেস্ট ম্যাচ জেতাবে।’
তবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণ কেমন হবে এই বিষয়ে এখনো সিদ্বান্ত নেয়নি বাংলাদেশ। কারণ এখনো উইকেট দেখতে পারেননি টিম ম্যানেজমেন্ট। ডোমিঙ্গো জানিয়েছেন উইকেট দেখার পর সিদ্বান্ত হবে বোলিং আক্রমণ নিয়ে।
ডোমিঙ্গো বলেন, ‘এটা হতাশাজনক যে মাঠকর্মীরা এখনো আমাদের উইকেট দেখতে দেয়নি। আজ অথবা আগামীকাল আমরা উইকেট দেখব। উইকেট দেখার পর বোলিং আক্রমণ নিয়ে আরও ধারণা পাব আমরা। তখন এই বিষয়ে সিদ্বান্ত নেব।
আগামী সাত জুলাই হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে শুরু হবে সিরিজের একমাত্র টেস্ট। একমাত্র টেস্ট শেষে একই মাঠে তিন ম্যাচের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে দুই দল।