পাকিস্তান ক্রিকেটের সাথে সবচেয়ে বেশি জড়িত শব্দ নি:সন্দেহে ‘নিরাপত্তা’। প্রায় এক দশক ঘরের মাঠে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের স্বাদ থেকে বঞ্চিত হয়েছে পাকিস্তানের দর্শকরা। এমন কি পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) মত আসরও আয়োজন করতে হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাটিতে।
গত বছর দুয়েক ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট পাকিস্তানে নিয়মিত হলেও নিরাপত্তা জনিত সমস্যা পিছুই ছাড়ছে না। এবার পিএসএল চলাকালীন লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়াম থেকে চুরি গেছে বাড়তি নিরাপত্তা নিশ্চিতে স্থাপিত আটটি ক্লোজ সার্কিট টেলিভিশন (সিসিটিভি) ক্যামেরা।
ক্রিকেট আর নিরাপত্তা ইস্যু পাকিস্তানের ক্ষেত্রে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ২০০৯ সালে লাহোর স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের ওপর চালানো হয় ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা। শ্রীলঙ্কা দল হোটেল থেকে গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে যাবার পথে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। সেই হামলায় নিরাপত্তা রক্ষীসহ নিহত হন আটজন। এরপর থেকেই পাকিস্তান থেকে নির্বাসিত হয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট।
এবার সেই লাহোর স্টেডিয়াম থেকেই চুরি গেলো আটটি সিসিটিভি ক্যামেরা। ২০০৯ সালের সেই হামলার পর থেকেই লাহোরের নিরাপত্তায় সব সময়ই বাড়তি মনোযোগ দেয় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। সেই বাড়তি নিরাপত্তা নিশ্চিতেই গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে আটটি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছিল।
পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম এআরওয়াই নিউজ জানিয়েছে, সিসি ক্যামেরার পাশাপাশি চুরি গেছে গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের জেনারেটর এর ব্যাটারি এবং সিসিটিভি ক্যামেরার ফাইবার ক্যাবলও। সংবাদ মাধ্যমটির দাবী, প্রায় কয়েক মিলিয়ন রুপির সরঞ্জামাদি চুরি হয়েছে গাদ্দাফি স্টেডিয়াম থেকে।
এমন অবস্থায় কিছুটা বিচলিত পিসিবি। এবারের পিএসএলের প্লে-পর্ব পুরোটাই অনুষ্ঠিত হবে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে। এর আগে লিগ পর্বের আরো চারটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবার কথা এই মাঠে। তাই লাহোরের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে ভাবতেই হচ্ছে নাজাম শেঠি ও তাঁর বোর্ডকে।