মাত্র আট গজ দূরে ইন ডিরেক্ট ফ্রি-কিক পায় চেলসি; সেট আপ শেষে কোল পালমার নিজেই শট নেন। অবিশ্বাস্য রিফ্লেক্সে সেই শট ঠেকিয়ে দেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ; শুধু একবারই নয়, দুর্ধর্ষ সব সেভ দিয়ে কত বার যে দলকে বাঁচিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তবু বাঁচাতে পারলেন কই, চেলসি তিন তিনবার অ্যাস্টন ভিলার জাল কাঁপিয়ে আদায় করে নিয়েছে বড় জয়।
গোলের শুরুটা করেছিলেন নিকোলাস জ্যাকসন, স্রেফ সাত মিনিটের সময় দারুণ ফিনিশিংয়ে এমি মার্টিনেজকে পরাস্ত করেন তিনি। অবশ্য এটা তাঁর অভ্যাসে রূপ নিয়েছে সেটা। ম্যাচের প্রথম গোল এই স্ট্রাইকার করেছেন – এমন ঘটনা চলতি মৌসুমে ছয়বার ঘটেছে।
খানিক বিরতি দিয়ে ভিলার দূর্গে আবার আঘাত হানেন এনজো ফার্নান্দেজ। স্বদেশী গোলরক্ষককে দুর্দান্ত এক হাফ ভলিতে বোকা বানান তিনি; দল এগিয়ে যায় ২-০ গোলে। এর আগের ম্যাচেও স্কোরবোর্ডে নাম তুলেছিলেন এই মিডফিল্ডার, সবমিলিয়ে গত তিনটি লিগ ম্যাচে দুই গোল আর দুই অ্যাসিস্ট এসেছে তাঁর পা থেকে।
অথচ আগের নয় ম্যাচের একটিতেও স্কোরবোর্ডে নাম তুলতে পারেননি এনজো। অর্থাৎ হুট করেই যেন নিজেকে নতুন রূপ দিয়েছেন তিনি; অবশ্য তাঁর কাছে এটাই প্রত্যাশা করে সমর্থকেরা।
চেলসির চমৎকার টিম পারফরম্যান্স পূর্ণতা পেয়েছে কোলে পালমারের গোল দিয়ে। ৮৩ মিনিটের সময় প্রায় বিশ গজ দূর থেকে বাম পায়ে শট নেন তিনি। একেবারে মাপা শট টপ কর্নার অঞ্চল দিয়ে আশ্রয় নেয় জালে।
এই নিয়ে চলতি মৌসুমে আট গোল এবং ছয় অ্যাসিস্টের মালিক বনে গিয়েছেন এই তরুণ। আর তাতেই সর্বোচ্চ সংখ্যক গোলে অবদান রাখার তালিকায় তিন নম্বরে উঠে এসেছেন তিনি। তাঁর উপরে আছেন কেবল মোহামেদ সালাহ এবং বুকায়ো সাকা। পালমারের ধারাবাহিকতা নিয়ে তাই কিছু বলার অপেক্ষা রাখে না।
অ্যাস্টন ভিলাকে হারিয়ে লিগের টেবিলে তিন নম্বরে উঠে এসেছে চেলসি। অন্যদিকে ভিলা নেমে গিয়েছে সেরা দশের বাইরে – গত মৌসুমের উল্টো চিত্র যেন।