আর্জেন্টিনার ৩৬ বছরের আক্ষেপ ঘুচেছে লিওনেল মেসির পায়ের জাদুতে। আর্জেন্টিনার মানুষের দীর্ঘ এক অপেক্ষার অবসানও ঘটেছে কাতারে। ১৯৮৬ সালে দিয়াগো ম্যারাডোনার পর আর্জেন্টিনাকে বিশ্বসেরার মুকুট এনে দিয়েছেন মেসিরা।
লিওনেল মেসির ক্যারিয়ারের অনন্ত আক্ষেপ ঘোচাতে পার্শ্ব নায়ক হয়ে যে মানুষটা জীবন বাজি রেখে লড়েছেন তিনি আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ।
বিশ্বকাপ জুড়েই করেছেন অতিমানবীয় সব সেভ করে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপটা এনে দেবার পেছনে এমির অবদান সবার ওপরের দিকেই থাকবে। ফাইনালে টাইব্রেকারের ঠিক আগ মুহুর্তে মার্টিনেজের সেই অবিশ্বাস্য সেভ কিংবা অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের অন্তিম মুহুর্তে সেই অতিমানবীয় সেভ না করলে আর্জেন্টিনার অপেক্ষাটা আরেকটু লম্বা হতো সেটা নিশ্চিত।
বিশ্বকাপের সেরা গোলরক্ষকের পুরষ্কারটাও প্রত্যাশিতভাবেই উঠেছে এমির হাতে। সেই এমিলিয়ানো মার্টিনেজকে এবার দেখা যাবে বাংলাদেশের মাটিতেই। আগামী ৩ জুলাই বাংলাদেশের পা রাখতে যাচ্ছেন বিশ্বকাপের গোল্ডেন গ্লাভস জয়ী এই গোলরক্ষক। আর্জেন্টিনা দলের বাংলাদেশে আসাটা বাতিল হলেও বাংলাদেশে আর্জেন্টাইন ভক্তদের জন্য তাই এমিলিয়ানোর আসাটা বিরাট এক সুখবরই।
বিশ্বকাপের সময় থেকেই আর্জেন্টিনা বাংলাদেশের রসায়নটা আলোচনায় আসে পুরো বিশ্বজুড়ে। সেই দিয়াগো ম্যারাডোনার যুগ থেকে এখন পর্যন্ত আর্জেন্টিনার প্রতি প্রেম একটুও কমেনি বাংলাদেশের মানুষের। বলা যায়, সেই ভালোবাসার প্রতিদান দিতেই অনেকটা বাংলাদেশে আসছেন এমিলিয়ানো।
৪ জুলাই ভারতের কলকাতায় আসার কথা পাঁকা হয়েছিল এমি মার্টিনেজের। দুইদিন সেখানে থাকবেন তিনি। দেখা করবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সাথেও। সেই সাথে দেখা করার কথা ‘প্রিন্স অফ কলকাতা’ সৌরভ গাঙ্গুলির সাথেও।
কলকাতা সফর নিশ্চিত হবার পর মার্টিনেজ নিজের ইচ্ছাতেই বাংলাদেশে আসার কথা জানিয়েছেন। বাংলাদেশে আর্জেন্টিনার বিপুল সংখ্যক ভক্তদের ভালোবাসার জবাব দিতেই বাংলাদেশে আসতে চান তিনি।
সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে ৩ জুলাই ভোরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন এমিলিয়ানো। পুরো দিনটা ঢাকায় কাটিয়ে তবেই ধরবেন কলকাতার বিমান।
এর আগে ২০১১ সালে দলবল সহ ঢাকায় এসে ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলেছিলেন লিওনেল মেসি। এবার কোনো ম্যাচ খেলতে নয়, শুধুমাত্র বাংলাদেশী মানুষদের ভালোবাসা নিজ চোখে দেখতেই এদেশে আসছেন বিশ্বকাপের সেরা গোলরক্ষক।