যে প্রেমের গল্পের নায়ক এমি

কোন এক বিখ্যাত প্রেমকাহিনী হওয়ার দাবি রাখে দিবু মার্টিনেজের গল্প। 

বাস স্টপেজে প্রথম দেখা। এরপর একটু খানি ইতস্ততা। শূন্য পকেটে এক নারীর পেছনে ছুটে চলা। আজ যখন সব কিছু আছে এমিলিয়ানো মার্টিনেজের, তখন তাদের বৈবাহিক সম্পর্কের বয়স পেরিয়েছে সাতটি বসন্ত। কোন এক বিখ্যাত প্রেমকাহিনী হওয়ার দাবি রাখে দিবু মার্টিনেজের গল্প।

২০২১ সালের আগে অবধি এমিলিয়ানো নিজেও হয়ত জানতেন না কোথায় যেতে চলেছে তার ক্যারিয়ার। ক্যারিয়ারের বেশ উত্থান-পতন দেখা এমি তরুণ বয়সে চলে আসেন আর্সেনালে। ক্লাবের হয়ে খেলার সুযোগ তখনও তার হয়নি। লন্ডনে তখনও দিবু চলাচল করেন বাসে চেপে কিংবা পায়ে হেটে।

দিবু যেখানটায় থাকতেন, তার আশেপাশেই থাকতেন আভা। এখন যিনি মানদিনহা মার্টিনেজ নামে সুপরিচিত, মার্টিনেজের স্ত্রী হিসেবেও লোকজন তাকে চেনে এখন। কিন্তু তখন এমিলিয়ানোর কিছুই ছিল না। বাসস্টপে তাদের প্রায়ই দেখা হত। কিন্তু সাহস করে, আগ বাড়িয়ে কথা বলতে দ্বিধায় থেকেছেন এমি। একদিন অবশ্য সাহস তিনি করেই ফেললেন। প্রস্তাব জানালেন কোথাও একটা ঘুরতে যাওয়ার।

তখনও কিন্তু এমি তারকা হয়ে ওঠেননি। জীবনের রুঢ় পথ ধরে নিজেকে প্রমাণের সুযোগ সন্ধান করে যাচ্ছেন। নিজেকে প্রতিনিয়ত তৈরি করে যাচ্ছেন নতুন কোন এক চ্যালেঞ্জের জন্য। পারিশ্রমিকও তার ছিল না আকাশচুম্বী। আর্সেনালের গোলরক্ষক হলেও, ম্যাচ খেলার সুযোগ তার এসেছে কালেভদ্রে।

তবুও আভা সাড়া দিলেন দিবুর ডাকে। ভাল লাগা রূপান্তরিত হয় প্রেমে, এরপর তা গড়ায় বিয়ে আর সংসারে। আজ প্রায় সাত বছর ধরে চলছে এমি আর আভার সংসার। তাদের কোলজুড়ে এসেছে দু’খানা সন্তান। এই তো বছর চারেক আগেও দিবুর এত খ্যাতি ছিল না। এমি মার্টিনেজ তখনও সংগ্রাম করে যাচ্ছেন নিজেকে প্রমাণের।

মানদিনহা সেই সব দিনগুলোতে শক্ত করে ধরেছিলেন মার্টিনেজের হাত। আর এরপরই যেন সমস্ত ঐশ্বরিক শক্তি জমা হতে থাকে এমির ওই হাতে। আর তিনি হয়ে ওঠেন এক অজেয়, অদম্য প্রাচীর।

Share via
Copy link