প্রস্তুতির শেষ ম্যাচে পরাজয় বাংলাদেশের

মূল মঞ্চে নামার আগে নিজেদের শেষ প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ এবং ইংল্যান্ড। তবে দুই দলের শক্তিমত্তার পার্থক্য বুঝিয়ে দিয়ে বড় জয় তুলে নিয়েছে ইংলিশরা। বৃষ্টির কারণে ৩৭ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে তাঁরা জয়ের বন্দরে পৌঁছে গিয়েছে বেশ অনায়াসে।

নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান না থাকায় এদিন টাইগারদের হয়ে টস করেন নাজমুল হোসেন শান্ত। টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তৃতীয় ওভারেই অবশ্য লিটনকে ফিরিয়ে উদযাপনের উপলক্ষ সৃষ্টি করেন রিচ টপলি। ইনফর্ম শান্তও আউট হন দুই রানের মাথায়; তবে তরুণ তানজিদ আর মিরাজ এরপর প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। দুজনের সাবলীল ব্যাটিংয়ে এগুতে থাকে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ড।

কিন্তু ১৬তম ওভারে জুনিয়র তামিম প্যাভিলিয়নে ফিরলে আবারো নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে শুরু করে টিম টাইগার্স। মুশফিকুর রহিম আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ দুজনে ক্রিজে সেট হলেও পারেননি ইনিংস বড় করতে। তাওহীদ হৃদয়ও হতাশ করেছেন আরেকবার৷

সতীর্থদের যাওয়া আসার মিছিলে একাই লড়ে গিয়েছেন মেহেদি মিরাজ। চার নম্বরে খেলতে নামা এই তরুণ একাই করেছেন ৭৪ রান, আর তাতে ভর করেই নির্ধারিত ৩৭ ওভারে ১৮৮ রান সংগ্রহ করে টাইগাররা। দলের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৫ রান আসে তামিমের ব্যাট থেকে।

জবাবে প্রথম থেকেই মারমুখী হয়ে ওঠেন ইংল্যান্ডের ব্যাটাররা। পাওয়ার প্লেতে হাসান মাহমুদ, মুস্তাফিজদের ওপর তান্ডব চালিয়ে বরাবর ১০০ রান তোলে ইংলিশ ব্যাটাররা। যদিও এর মাঝে তিনটি উইকেট ঠিকই তুলে নিয়েছে বোলাররা। ডেভিড মালান এবং জনি বেয়ারস্টোকে আউট করেছেন ফিজ এবং হাসান প্যাভিলিয়নের পথ দেখিয়েছেন হ্যারি ব্রুককে।

দশ ওভার শেষে রান তোলার গতি কিছুটা কমে এলেও ততক্ষণে জয় প্রায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল জস বাটলারদের। তবে কোন ব্যাটারকেই বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে দেননি বাংলাদেশের পেসাররা, ম্যাচের এক পর্যায়ে ১১৪ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল ইংলিশরা।

তবে অভিজ্ঞ জো রুট আর মঈন আলী বিপদ বাড়তে দেননি। দুজনের পঞ্চাশোর্ধ জুটিতে জয় নিশ্চিত করে দলটি। শেষদিকে মঈন আলী আউট হলেও বাকি আনুষ্ঠানিকতা সারেন রুট। ডিএলমেথডে পরিবর্তিত ১৯৭ রানের টার্গেট ২৫তম ওভারেই জয়ের স্বাদ পায় ইংল্যান্ড, সেই সাথে বাংলাদেশকে বিশ্বকাপের ঠিক আগ মুহূর্তে ছোটখাটো সতর্কবার্তা দিয়ে যায় তাঁরা।

ব্যাটারদের ব্যর্থতার দিনে বোলারদের আসলে তেমন কিছু করার ছিল না। তবু যেভাবে ইংলিশরা শাসন করেছে তাতে একটু হলেও শঙ্কা জেগেছে ক্রিকেটপ্রেমীদের হৃদয়ে। বিশেষ করে বাংলাদেশের ফিল্ডিং নিয়ে দুশ্চিন্তা রয়েই গিয়েছে, এখন দেখার বিষয় কত দ্রুত ভুল থেকে শিখতে পারে টাইগাররা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link