রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়তে সংশয় ছিল রামোসের

ক্লাবের কিংবদন্তিদের সম্মান দিতে পারে না রিয়াল মাদ্রিদ’- এমন একটা কথার প্রচলন রয়েছে। অধিনায়ক হিসেবে রিয়ালকে একের পর এক শিরোপা জেতানো সার্জিও রামোসের বিদায়টাও খুব বেশি সুখের হয়নি। রামোস চুক্তি নবায়ন করতে চাইলেও রিয়াল মাদ্রিদ আগ্রহী না হওয়ায় ফ্রি ট্রান্সফারে প্যারিস সেইন্ট জার্মেইনে পাড়ি জমান এই স্প্যানিশ সেন্টার ব্যাক।

রিয়াল মাদ্রিদের সর্বকালের সেরা ডিফেন্ডারদের ছোট্ট তালিকা করলেও সেই তালিকায় অনায়াসে ঢুকে যাবেন রামোস। ২০০৫ সালে সেভিয়া থেকে মাদ্রিদে যোগ দেবার পর থেকেই দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিলেন রামোস। মাদ্রিদের বিখ্যাত সাদা জার্সিতে ৬৭১ ম্যাচে মাঠে নেমেছেন রামোস। রিয়াল মাদ্রিদের ইতিহাসে যা চতুর্থ সর্বোচ্চ। ১১টি মেজর ট্রফির পাশাপাশি জিতেছেন অসংখ্যা শিরোপা।

২০২১ সালেই রিয়ালের সাথে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয় রামোসের। ২০২৩ সাল পর্যন্ত রিয়ালের সাথে চুক্তি বাড়াতে চেয়েছিলেন রামোস। কিন্তু ৩৪ বছর বয়সী রামোসের জন্য এক বছরের বেশি চুক্তি করতে রাজি হয়নি মাদ্রিদ কর্তৃপক্ষ। তাই মোটামুটি বাধ্য হয়েই নতুন গন্তব্যে যেতে হয় রামোসকে।

এক স্প্যানিশ সংবাদ মাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে রামোস বলেন, ‘নি:সন্দেহে রিয়াল ছেড়ে আসা আমার জন্য অনেক বড় পরিবর্তন ছিলো। আমি সব সময় জিততে চেয়েছি। আমি রিয়ালের হয়ে অনেক কিছু জিতেছি কিন্তু আমি তখন ভেবেছিলাম পরিবর্তনের এটাই ভালো সুযোগ।’

রামোস আরো যুক্ত করে বলেন, ‘শুরুতে সব কিছুই কঠিন ছিল। আপনাকে বাড়ি খুঁজতে হবে এবং মানিয়ে নিতে হবে। এটা খুবই কঠিন যখন আপনার পরিবারে চারটি শিশু থাকবে।’

রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে আসাটা মোটেই সুখকর ছিল না বলে মনে করেন রামোস, ‘প্রথমে সব কঠিন লাগছিল। কিন্তু সব কিছু আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে গেল। যখন আমি এখানে আসি, তখন কোনো কিছুই ঠিকঠাক হচ্ছিল না। আমি ইনজুরিতে পড়ি। তখন সেড়ে ওঠা এবং নতুন সিস্টেমের সাথে মানিয়ে নেয়াটাও কঠিন ছিল কারণ তখন সবই নতুন। তখন আমি ভাবতে শুরু করেছিলাম যে রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে আমি ঠিক কাজ করেছি কিনা।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link