দীর্ঘ অপেক্ষা শেষে গোলশূন্য ড্র ইউরোতে

২০২০ সালের ইউরো, ইংল্যান্ড বনাম স্কটল্যান্ডের ম্যাচ শেষ হয়েছিল কোন গোল ছাড়াই। পুরো ম্যাচে কোন গোল হয়নি এমন ঘটনা এরপর আর ইউরোতে দেখা যায়নি। একে একে কেটে গিয়েছে পঞ্চাশ ম্যাচ, এরপর অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে গোলশূন্য ম্যাচ হলো নেদারল্যান্ডস আর ফ্রান্সের মাঝে। ফরোয়ার্ডরা বারবার ভীতি ছড়ালেও শেষমেশ জাল অক্ষত রেখেই মাঠ ছেড়েছে তাঁরা।

প্রথম ম্যাচে পূর্ণ তিন পয়েন্ট পাওয়ায় দুই দলের জন্যই এই ম্যাচ ছিল নক আউট পর্ব নিশ্চিত করার সুযোগ। আর সে লক্ষ্যে নেদারল্যান্ডস তাঁদের চিরচেনা ৪-২-৩-১ এবং ফ্রান্স ৪-২-৩-১ ছকে একাদশ সাজায়।

ম্যাচের প্রথম মিনিটেই গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন ফ্রিমপং। ডিফেন্স লাইনে বোকা বানিয়ে গোলপোস্টের কাছাকাছি চলে এসেছিলেন তিনি, যদিও মাইক মাইগনানকে পরাস্ত করতে পারেননি। বিপরীতে ফরাসিরাও হানা দিয়েছিল গোলের খোঁজে, যদিও গোলরক্ষককে একা পেয়েও সুযোগ হাতছাড়া করেন থুরাম।

দ্বিতীয়ার্ধেও খেলার ধরন একই থাকে; দুই দলই আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে ব্যস্ত সময় পার করে। বিশেষ করে গ্রিজম্যানরা আরেকটু ভাল ফিনিশ করতে পারলে একাধিক সহজ গোল পেতে পারতেন।

দুই পরাশক্তির দ্বৈরথে উত্তাপ সৃষ্টি হয় ম্যাচের ৬৯তম মিনিটে। অবিশ্বাস্য এক শটে ডাচদের উদযাপনের উপলক্ষ এনে দেন জাভি সিমন্স। কিন্তু বিধি বাম, অফসাইডের ফ্ল্যাগ উঁচিয়ে ধরেন রেফারি। তারপর দুই মিনিটের বেশি সময় ধরে ভিএআরের সাহায্য নিয়ে গোল বাতিল করা হয়। তারপর আর কোন কিছু না ঘটলে পয়েন্ট ভাগাভাগির মধ্য দিয়েই শেষ হয় উপভোগ্য এই দ্বৈরথ।

কিলিয়ান এমবাপ্পে বিহীন ফ্রান্সকে জিততে হলে আক্রমণভাগে আরো ধারালো হওয়া প্রয়োজন ছিল, কিন্তু থুরাম সে জায়গায় কিছুই করতে পারেননি। আক্ষেপ তাই থাকতেই পারে দিদিয়ের দেশ্যমের মনে। তবে উল্টো চিত্র ডাচ শিবিরে, ফরাসিদের রুখে দিয়ে হয়তো স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন ভ্যান ডাইক, ডি ব্রিজরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link