শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হারার পর ওয়ানডেতে জবাব দিতেই হতো বাংলাদেশকে। মাঠের খেলায় প্রত্যাশিত কাজটাই করলো বাংলাদেশ, টি-টোয়েন্টিতে হারের দুঃখ ভুলে ঘুরে দাঁড়িয়েছে টিম টাইগার্স। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর অসাধারণ সেঞ্চুরিতে ভর করে ছয় উইকেট হাতে রেখে জয় পেয়েছে তাঁরা।
আগে ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কা শুরুটা ভালভাবেই করেছিল, দুই ওপেনার প্রথম থেকেই আগ্রাসী হয়ে উঠেছিলেন টাইগার বোলারদের উপর। দশম ওভারে আভিস্কা ফার্নান্দোকে আউট করে উদযাপনের উপলক্ষ সৃষ্টি করেন তানজিম সাকিব, ততক্ষণে অবশ্য স্কোরবোর্ডে ৭১ রান জমা হয়েছিল। তবে এরপরই সাকিবের তোপের মুখে পড়ে পথ হারায় স্বাগতিকরা, দ্রুত পাথুম নিশাঙ্কা ও সাদিরা সামারাবিক্রমা ফিরে যান প্যাভিলিয়নে।
ইনফর্ম কুশল মেন্ডিস চেষ্টা করেছিলেন প্রতিরোধ গড়ে তোলার; চারিথ আসালঙ্কার সঙ্গে ৪৪ রান এবং ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার সঙ্গে ৬৯ রানের জুটি গড়েন তিনি। ব্যক্তিগত ৫৯ রানে তাঁকে আউট করে দলকে বিপদমুক্ত করেন তাসকিন। জানিথ লিয়ানাগে পুনরায় হাল ধরেন, লোয়ার মিডল অর্ডারকে সঙ্গী করে লড়াই চালিয়ে যান তিনি।
শেষপর্যন্ত তাঁর হাফসেঞ্চুরিতে ভর করে ২৫৫ রানের পুঁজি পায় লঙ্কানরা। যদিও ডেথ ওভারে তাসকিন, শরিফুলরা নিয়ন্ত্রিত বোলিং না করলে দলটির সংগ্রহ আরো বেশি হতে পারো।
জবাবে বাংলাদেশের শুরুটা হয়েছিল বিভীষিকাময়, প্রথম বলেই আউট হন লিটন দাস। খানিক পরে সৌম্য সরকার একই পথ ধরেন, তাওহীদ হৃদয়ও পারেননি বলার মত কিছু করতে। ২৩ রানে তিন উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ের মুখে পড়া টিম টাইগার্সের ত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত হন অধিনায়ক শান্ত। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে সঙ্গে নিয়ে প্রাথমিক বিপদ সামাল দেন তিনি।
৩৭ রান করে রিয়াদ আউট হলে ভাঙ্গে দু’জনের ৬৯ রানের জুটি। তবে অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম কোন সমস্যায় পড়তে দেননি, শান্তের সঙ্গে গড়ে তুলেন অনবদ্য এক জুটি। ৫২ বলে হাফসেঞ্চুরি করেন এই বাঁ-হাতি, তবে থামেননি তিনি। এগিয়ে গিয়েছেন সেঞ্চুরির দিকে, সেই সাথে জয়ের সমীকরণ ক্রমাগত সহজ করে তুলেছেন। ৩৮তম ওভারে আসে কাঙ্খিত মুহূর্ত, চার মেরে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেন লাল-সবুজের দলপতি।
শেষপর্যন্ত ৩২ বল এবং ছয় উইকেট হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। নাজমুল শান্ত আর মুশি দু’জনে অপরাজিত থাকেন যথাক্রমে ১২২ ও ৭৩ রানে।