ওয়ার্কলোড ম্যানেজম্যান্ট, আইপিএল এবং শামি-বুমরাহ

বোর্ডের হাতে যে কিছু নেই তা কিন্তু নয়। চুক্তিভুক্ত ক্রিকেটারদের অ্যাথলেট ম্যানেজম্যান্ট ভেস্ট এবং হুপ ব্যান্ড দেয়া হয়, এসব ডিভাইস থেকে ক্রিকেটারের শারিরীক কর্মকান্ড, রিকোভারি প্রক্রিয়া, স্লিপ সাইকেলের তথ্য পায় বিসিসআই। সেক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কাউকে সতর্ক করার হলে করতে পারে তাঁরা, যদিও দিনশেষে ম্যাচ খেলবে কি না সেই সিদ্ধান্ত ফ্রাঞ্চাইজি নেয়। 

ক্রিকেট বিশ্বে ভারতের যে একক আধিপত্য সেটার পিছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে আইপিএলের, একদিকে রেভিনিউয়ের কারণে শক্তিশালী হয়ে উঠেছে বিসিসিআই, অন্যদিকে প্রতিভা খুঁজে বের করা কিংবা কোন ক্রিকেটারকে বড় মঞ্চের জজন্য তৈরি করা সহজ হয়ে গিয়েছে। তবে আইপিএল আসলেই ঘুরে ফিরে একটা ব্যাপার সবার আগে চলে আসে – ওয়ার্কলোড ম্যানেজম্যান্ট।

টুর্নামেন্ট শেষ হওয়ার পঁচিশ দিন পরেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শুরু হবে, ব্যাটারদের জন্য সেটা খুব বেশি ঝামেলা না হলেও বোলারদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বটে। দুই মাস হাই ইন্টেন্সিটিতে ম্যাচ খেলার পর পাঁচ দিনের ম্যাচ খেলা চোটের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিবে।

সবচেয়ে বড় কথা ভারতীয় পেসারদের অনেকেই এখনো শতভাগ ফিট নন; ইনজুরির কারণে জাসপ্রিত বুমরাহ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে পারেননি, এখনো তাঁকে আইপিএলে খেলার অনুমতি দেয়া হয়নি। মোহাম্মদ শামি তো কেবল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি দিয়ে ফিরেছেন মাঠে। এছাড়া আকাশ দীপ, হার্শিত রানা আছেন পর্যবেক্ষণে।

কিন্তু আইপিএল আসলে বিসিসিআইয়ের করার তেমন কিছু থাকে না, ফ্রাঞ্চাইজির মেডিকেল বিভাগ তখন সিদ্ধান্ত নেয় কি করা উচিত। কাড়ি কাড়ি টাকার আহ্বান প্রত্যাখ্যান করা সত্যিই কঠিন, ফ্রাঞ্চাইজি চাইলে তাই বিশ্রামের কথা ভুলে মাঠে নামতে হয়।

তবে বোর্ডের হাতে যে কিছু নেই তা কিন্তু নয়। চুক্তিভুক্ত ক্রিকেটারদের অ্যাথলেট ম্যানেজম্যান্ট ভেস্ট এবং হুপ ব্যান্ড দেয়া হয়, এসব ডিভাইস থেকে ক্রিকেটারের শারিরীক কর্মকান্ড, রিকোভারি প্রক্রিয়া, স্লিপ সাইকেলের তথ্য পায় বিসিসআই। সেক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কাউকে সতর্ক করার হলে করতে পারে তাঁরা, যদিও দিনশেষে ম্যাচ খেলবে কি না সেই সিদ্ধান্ত ফ্রাঞ্চাইজি নেয়।

অবশ্য বোর্ড ভরসা করে ক্রিকেটারদের ওপর, অভ্যন্তরীণ একটা সূত্র বলে, ‘ক্রিকেটার, বিশেষ করে বোলাররা এখন সচেতন। তাঁদের জন্য কোনটা ভাল হবে সেটা তাঁরা জানে। এবং ক্রিকেটারের মতকে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় প্রাধান্য দিতে হয়।’

বুমরাহ কিংবা শামির মতো একজন খেলোয়াড়ের আইপিএলের আঁটসাঁট সূচীর মধ্য দিয়ে জোর করে খেলা উচিত কি না সেটা নিয়ে আলোচনা হতেই পারে। তবে মূল কথা কেউ চোটে না পড়লে তাঁকে খেলার প্রস্তুত রাখা বিসিসিআইয়ের দায়িত্ব – সেজন্য যা করা প্রয়োজন তাই করতে হবে।

Share via
Copy link