২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত ইনজুরির কারণে মাঠের বাইরে ছিলেন এনরিখ নর্কিয়া। প্রত্যাবর্তনের পর কয়েক মাস কেটে গেলেও ছন্দ খুঁজে পাননি তিনি, তবে তাঁকে নিয়ে আশাবাদী ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই তাই তাঁর ওপর ভরসা রাখা হয়েছে – আর সেই ভরসার দারুণ প্রতিদান মিললো।
মাঠে ফেরার পর থেকে সবধরনের টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে এগারোটি ম্যাচ খেলেছেন এই পেসার। উইকেট পেয়েছেন স্রেফ নয়টি; আর সেজন্য খরচ করতে হয়েছে ৪৪৯ রান, ইকোনমি ১১.২২! এমন হতশ্রী ফর্ম সত্ত্বেও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একাদশে রাখা হয়েছে তাঁকে, তিনিও সুযোগ কাজে লাগিয়েছেন সবচেয়ে সেরা উপায়ে।
এদিন চার ওভার হাত ঘুরিয়ে চার চারটি উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন এই ডানহাতি, সেজন্য তাঁকে খরচ করতে হয়েছে স্রেফ সাত রান। সাম্প্রতিক সময়ে এমন অতিমানবীয় বোলিং দেখা যায়নি বললেই চলে।
ইনিংসের অষ্টম ওভারে প্রথমবার বোলিংয়ে আসেন নর্কিয়া, ঘন্টায় ১৪০ কিমির বেশি গতির ডেলিভারিতে নাভিশ্বাস তোলেন ব্যাটারদের। সেই সাথে ওভারের চতুর্থ বলে কামিন্দু মেন্ডিসকে প্যাভিলিয়নে ফেরান তিনি। ব্যক্তিগত দ্বিতীয় ওভারেও একই দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি দেখা গিয়েছিল, এবারের শিকার ছিলেন কুশল মেন্ডিস। আর দুই ওভার শেষে তাঁর বোলিং ফিগার ছিল ২-০-৪-২!
বিস্ময় করে হলেও সত্যি যে, নিজের শেষ দুই ওভারে একই ছন্দে বল করেছেন এই প্রোটিয়া বোলার। তৃতীয় ওভারে দুই রানের বিনিময়ে তুলে নিয়েছেন চারিথ আসালঙ্কার উইকেট, এরপরের ওভারে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসকেও থামিয়েছেন তিনি। তাঁর এমন স্পেলের বিপরীতে আসলে কোন জবাব জানা ছিল না লঙ্কান ব্যাটারদের, তাই তো হুড়মুড়িয়ে তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়েছে দলটির ব্যাটিং লাইনআপ।
এক্সপ্রেস গতি আর আঁটসাঁট লাইন লেন্থে বোলিংয়ের অপূর্ব সমন্বয় ঘটিয়েছেন এই তারকা। এমন বিধ্বংসী পারফরম্যান্স অবশ্য তাঁর জন্য একটুও অপ্রত্যাশিত নয়, এখন কেবল দেখার বিষয়, তিনি এর ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেন কি না।