ঘরের মাঠে সহজ জয়, যেন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মধুর এক প্রতিশোধ নিল বাংলাদেশ। বল হাতে আধিপত্য, ব্যাট হাতেও দাপট, হোম অব ক্রিকেটে বাংলাদেশের এক শাসন দেখলো সালমান আলী আঘার দল।
টানা নয় ম্যাচ পর টস ভাগ্য ফিরলো লিটনের দরজায়। ক্যাপ্টেন বোলিংটাই বেছে নিলেন, লক্ষ্যটা ওই টিপিক্যাল মিরপুরের উইকেটে ১২০-১৩০ রানের মধ্যে সফরকারীদের আটকে রাখা।
সবকিছু পরিকল্পনামাফিক হলো, তাসকিন-মুস্তাফিজরা জ্বলে উঠলেন। এদিন যেন পাকিস্তান দল ছন্নছাড়া, দিশেহারা। পাওয়ার প্লের মধ্যেই ভেঙে গেল দলের ব্যাটিং অর্ডারের মেরুদণ্ড।
অবশ্য একের পর এক ব্যাটারদের আশা যাওয়ার মিছিলে একপ্রান্ত আগলে রেখেছিলেন ফখর জামান। তরুণদের ভিড়ে অভিজ্ঞতার ঝুলি কাঁধে কিছুটা আশা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন দলটির। শেষটাতে অবশ্য ভাগ্যের দোষেই ফিরেছেন রান আউট হয়ে, যাওয়ার আগে খেলেছেন ৩৪ বলে ৪৪ রানের লড়াকু এক ইনিংস।
দলের অবস্থা তখন ছয় উইকেট হারিয়ে ৭০ রান। আর কেউ দাঁড়াতে পারেনি তাসকিন-ফিজদের খুনে মেজাজের সামনে। ১১০ রানেই থামে বিপর্যস্ত পাকিস্তানের রানের চাকা।
মিরপুরের উইকেটে বাংলাদেশের জন্য এই রান অনেকটা ডাল-ভাতের মতোই। অবশ্য দলীয় দুই এবং সাত রানের মাথায় ফর্মে থাকা তামিম আর লিটন ফিরে গেলে একটা আশঙ্কা জেগেছিল খেই হারিয়ে ফেলার।
এই সময়টায় হাল ধরলেন পারভেজ হোসেন ইমন, সঙ্গী হিসেবে পেলেন তাওহীদ হৃদয়কে। এই জুটি তীরের কাছাকাছি নিয়ে এল জয়ের নৌকা। ৩৭ বলে ৩৬ রান করে যখন হৃদয় ফিরে যাচ্ছিলেন, দলের প্রয়োজন তখন মাত্র ৩১ রান।
বাকি কাজটা সারলেন ইমন। শেষ পর্যন্ত দায়িত্ব নিয়ে জেতালেন দলকে। কঠিন কন্ডিশনেও পুরোটা সময় ছিলেন আক্রমণাত্মক। তিন চার আর পাঁচ ছক্কায় সাজানো ইনিংসে ৩৯ বলে করেন ৫৬ রান। স্ট্রাইক রেটটাও ১৪৩-এর উপরে।
২৭ বল হাতে রেখে সাত উইকেটের একটা সহজ জয় পেল বাংলাদেশ। মাস দেড়েক আগেই পাকিস্তান সফরে নাস্তানাবুদ হয়েছিল এই দলটি। এবার যেন ঘরের মাঠে ডেকে এনে সবকিছু সুদে আসলে শোধ দেওয়ার পালা। অন্তত প্রথম ম্যাচ জয়ের পর এই আশাটাই করায় যায়।