টি-টোয়েন্টির দশ হাজারি ঝড়

করাচি কিংসের বিপক্ষে ছক্কা হাঁকিয়ে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেছিলেন বাবার আজম, আর এই ইনিংস দিয়েই সবধরনের টি-টোয়েন্টিতে ১০,০০০ রানের মাইলফলক পূর্ণ করেছেন। শুধু তাই নয় বিরাট কোহলি, ক্রিস গেইলের মত বাঘা বাঘা নামগুলোকে পিছনে ফেলে দ্রুততম ব্যাটার হিসেবে এই রেকর্ড অর্জন করেছেন তিনি।

শোয়েব মালিকের পর দ্বিতীয় পাকিস্তানি হিসেবে দশ হাজারি ক্লাবে নাম লেখা হলো এই ডানহাতির। এছাড়া পিএসএলে প্রথম ব্যাটার হিসেবে ৩০০০ রান করেছিলেন তিনি, আবার আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতেও সাড়ে তিন হাজারের বেশি রান করেছেন। বিশ ওভারের ক্রিকেটে কতটা ধারাবাহিক বাবর সেটাই প্রমাণ হয় এসবের মধ্য দিয়ে।

এখন পর্যন্ত ২৭১ ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ১০০৬৬ রান করেছেন তিনি। তাঁর ঝুলিতে শতক আছে দশটি আর অর্ধশতকের সংখ্যা ৮৩! পাক তারকার ব্যাটিং গড় প্রায় ৪৪, যা ঈর্ষান্বিত করবে অধিকাংশ ব্যাটারকেই। ইনিংসের হিসেবে সবচেয়ে দ্রুত দশ হাজারি ক্লাবে প্রবেশ করলেও তাঁর স্ট্রাইক রেট মোটে ১২৮ – কমপক্ষে দশ হাজার রান করেছেন এমন ব্যাটারদের মাঝে যা দ্বিতীয় সর্বনিন্ম।

কম ইনিংসে পাঁচ অঙ্কের ঘরে প্রবেশ করার ক্ষেত্রে এই ব্যাটারের পরেই আছেন ইউনিভার্স বস। ২৮৫ ইনিংস খেলে এই কীর্তি ছুঁয়েছিলেন তিনি। অবশ্য সর্বাধিক রানের মালিক এখনো গেইল, সবমিলিয়ে ৪৫৫ ইনিংস খেলে ১৪৫৬২ রান করেছেন তিনি। ২২টি সেঞ্চুরি এবং ৮৮টি হাফসেঞ্চুরি আছে তাঁর নামের পাশে।

আলোচ্য তালিকার তিন নম্বরে আছেন প্রজন্মের অন্যতম সেরা বিরাট কোহলি। উইন্ডিজ কিংবদন্তির চেয়ে ১৪ ইনিংস বেশি খেলে দশ হাজার রান করেছিলেন তিনি। এখন তাঁর মোট সংগ্রহ ৪১.২১ গড়ে ১১৯৯৪ রান; এর মাঝে আটবার হেলমেট খুলে উদযাপনের উপলক্ষ সৃষ্টি করেছেন এবং ৯১৷ বার করেছেন ফিফটি।

ভারতীয় তারকার পরেই আছেন আরেক সেনসেশন ডেভিড ওয়ার্নার। ৩০৩ ইনিংস খেলে মর্যাদার এই ক্লাবে প্রবেশ করতে পেরেছিলেন তিনি। এই অজি তারকা টি-টোয়েন্টিতে ১০১টি হাফসেঞ্চুরি করেছেন, শততম অর্ধশতকের স্বাদ পাওয়া একমাত্র ব্যাটার তিনিই। সেরা পাঁচে অবস্থান করছেন ওয়ার্নারের একসময়ের সতীর্থ অ্যারন ফিঞ্চ-ও। ১০০০০ রান করতে এই ওপেনারের লেগেছে ৩২৭ ইনিংস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link