হারতে থাকা ফরচুন বরিশালকেও হারাতে পারলো সিলেট স্ট্রাইকার্স, বরং নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে হেরে টানা পাঁচটি পরাজয়ের স্বাদ পেলো সিলেট। বরিশালের বিপক্ষে মাহমুদউল্লাহ, শেহজাদের ঝড়ে উড়ে গিয়েছে তাঁরা; আর সেই সাথে জয়ের পথে ফিরেছে তামিম ইকবালের দল।
আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই নাইম হাসানের স্পিনে আউট হন তামিম, তিন নম্বরে নামা প্রীতম কুমারও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। তবে ওপেনার মোহাম্মদ শেহজাদ ঠিকই ঝড় তুলেন বোলারদের উপর। সৌম্য সরকারকে নিয়ে গড়া পঞ্চাশ রানের জুটিতে তাঁর অবদানই ছিল বেশি।
১৪তম ওভারে আউট হওয়ার আগে এই পাক ব্যাটার করেন ৪১ বলে ৬৬ রান, তাতেই বড় সংগ্রহের ভিত পেয়ে যায় বরিশাল। যদিও মাঝের ওভারগুলোতে মুশফিকুর রহিমকে হাত খুলতে দেননি বেনি হাওয়েলরা। কিন্তু লাভের লাভ কিছুই হয়নি, ডেথ ওভারে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ রীতিমতো টর্নেডো ব্যাটিং করেন এদিন।
মেহেদি মিরাজকে সঙ্গী করে শেষ তিন ওভারে ৫২ রান তুলেছেন তিনি, যেখানে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ১২ বলে ৩৬ রান। শেষপর্যন্ত ৫১ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন দেশসেরা ফিনিশার, আর এই হাফসেঞ্চুরিতে ভর করে ১৮৬ রানের পাহাড়সম পুঁজি জমা হয় স্কোরবোর্ডে।
সেই রান তাড়া করে জেতার সম্ভাবনা এমনিতেই অনেক কম ছিল, এরই মধ্যে নাজমুল হোসেন শান্ত ৯ রান করে আউট হলে সেই সম্ভাবনা আরো মিইয়ে যায়। প্রথমবার সুযোগ পাওয়া সামসুর রহমান সেট হয়েছিলেন বটে কিন্তু ২৫ রান করে তিনিও ফেরেন প্যাভিলিয়নে। অধিনায়ক মাশরাফি মিডল অর্ডারে নামেন চমকপ্রদ কিছু করার লক্ষ্যে, তবে খালেদ আহমেদ কোন সুযোগ দেননি তাঁকে।
সতীর্থদের ব্যর্থতার মাঝেও লড়াই চালিয়ে গিয়েছিলেন জাকির হাসান। বেনি হাওয়েলকে সঙ্গে নিয়ে ৫৮ রানের জুটি গড়েন তিনি, ফলে আশার প্রদীপ নিভু নিভু করে জ্বলতে থাকে। যদিও দুই বলের ব্যবধানে সব আশা শেষ হয়ে যায়, ৪৬ রানে জাকির আর ২৪ রানে হাওয়েলের পথচলা থেমে যায়।
লোয়ার অর্ডারে আর কেউ প্রতিরোধ গড়তে পারেননি। শেষপর্যন্ত সবকয়টি উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রানে গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা। এরই মধ্য দিয়ে ৪৯ রানের বিশাল জয় পায় তামিম, মাহমুদউল্লাহর বরিশাল।