প্রথমবারের মত বিপিএল খেলতে এসেই বাজিমাত করলেন কাইল মায়ার্স; তাঁর অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্সের পাশাপাশি মুশফিকুর রহিমের অনবদ্য ব্যাটিংয়ে ম্লান হয়ে গেলো আরিফুল ইসলাম, বেনি হাওয়েলদের বীরত্ব। শেষপর্যন্ত লড়াই করেও ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ১৮ রানে হেরেছে তাঁদের দল সিলেট স্ট্রাইকার্স।
আগে ব্যাট করতে নেমে দলকে ভাল শুরু এনে দিতে চেয়েছিলেন আহমেদ শেহজাদ। তবে তানজিম হাসান সাকিব তাঁকে ১৭ রানের বেশি করতে দেননি। এই তরুণ পেসার এরপর ফিরিয়েছেন তামিম ইকবালকেও। পাওয়ার প্লের মাঝেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে খানিকটা ব্যাকফুটে চলে যায় বরিশাল অল্প সময়ের ব্যবধানে সৌম্য সরকারকেও হারিয়ে বসে।
ঠিক এসময় ত্রাতা হয়ে আবির্ভূত হন মুশফিক ও মায়ার্স। মিডল অর্ডারে এই দু’জনের জুটি ম্যাচে ফেরায় দলকে। স্রেফ আট ওভার ব্যাটিং করে তাঁরা স্কোরবোর্ডে যোগ করেন ৮৬ রান। ব্যক্তিগত ৪৮ রানের মাথায় উইন্ডিজ তারকা এবং ৫২ রান করে টাইগার উইকেটরক্ষক থামলে আবারো ছন্দপতন ঘটে।
যদিও মেহেদি হাসান মিরাজের দুই ছক্কায় প্রত্যাশিত পুঁজি জমা করতে সক্ষম হয় তামিমরা; নির্ধারিত বিশ ওভারে ১৮৩ রান করে দলটি।
দ্বিতীয় ইনিংসের প্রথম ওভারেই সিলেটের আশার প্রদীপ নিভিয়ে দেন মায়ার্স। ওপেনার হ্যারি টেক্টর আর নাজমুল শান্তকে ফিরিয়ে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন তিনি৷ এরপর সপ্তম ওভারে অধিনায়ক মিথুনের উইকেটও তাঁর ঝুলিতে যায়, মাঝে আবার রান আউটের ফাঁদে কাটা পড়েছিলেন জাকির হাসান।
এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি টিম স্ট্রাইকার্স; অ্যাঞ্জেলো পেরেরা এবং রায়ান বার্ল চেষ্টা করেও পারেননি বলার মত কিছু করতে। ৪০ রানে ছয় উইকেট হারানো দলের লজ্জা রক্ষা করেছেন আরিফুল ও হাওয়েল। শুধু লজ্জা রক্ষা নয়, অসম্ভব একটা জয়ের স্বপ্নও দেখিয়েছিলেন তাঁরা মাত্র ৫২ বলে দু’জনের জুটিতে এসেছিল ১০৮ রান।
১৯তম ওভারে আউট হওয়ার আগে এই টাইগার অলরাউন্ডার করেন ৩১ বলে ৫৭ রান। একই ওভারে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ নিয়েছিলেন ইংলিশ তারকাও, কিন্তু সাইফুদ্দিনের বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ে শেষ ওভারে প্রয়োজনীয় ২৩ রান নিতে পারেননি তিনি। শেষপর্যন্ত তাই ১৬৫ রানেই থামে সিলেটের ইনিংস।