এমনি এমনি তো আর ‘মিস্টার ডিপেন্ডবল’ নন মুশফিক

শেষ ৩ ইনিংসে দুই অঙ্কের ঘরে নিজের ইনিংসই নিয়ে যেতে পারেননি তিনি। তবে সাময়িক অফফর্মের সে বৃত্ত ভেঙ্গে চেনা ছন্দে ফিরে এসেছেন মুশফিকুর রহিম।

ব্যাট হাতে এবারের বিপিএলের শুরুটা দারুণ করেছিলেন মুশফিকুর রহিম। ব্যাক টু ব্যাক ফিফটি দিয়ে উঠে এসেছিলেন সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারীদের তালিকার একদম চূড়ায়। কিন্তু মাঝপথে হঠাতই ছন্দপতন। শেষ ৩ ইনিংসে দুই অঙ্কের ঘরে নিজের ইনিংসই নিয়ে যেতে পারেননি তিনি।

তবে সাময়িক অফফর্মের সে বৃত্ত ভেঙ্গে চেনা ছন্দে ফিরে এসেছেন মুশফিকুর রহিম। সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে খেললেন ৩২ বলে ৫২ রানের ইনিংস। ফরচুন বরিশালের শুরুটা এ দিন মোটেই ভাল হয়নি। পাওয়ার প্লে-র মাঝেই তাঁরা হারিয়ে ফেলে দুই ওপেনার আহমেদ শেহজাদ ও তামিম ইকবালকে।

পাওয়ার প্লে-র কিছুক্ষণ বাদে আবার ফিরে যান সৌম্য সরকারও। বরিশালের শেষ ৩ ম্যাচের জয়ের নেপথ্যে আবার ছিলেন এই তিন ব্যাটারই। অথচ দলের ভিত্তি গড়ার আগেই ফিরে যান তাঁরা।

দলগত সংগ্রহ গড়ার দায়িত্বটা তাই এ দিন পড়েছিল মুশফিকের কাঁধেই। উইকেটরক্ষক এ ব্যাটার সেই কাজটা ঠিকঠাক ভাবেই করেছেন। কাইল মেয়ার্সকে নিয়ে ৮৪ রানের জুটি গড়েছেন। ৩ চার ও ৩ ছক্কায় নিজেও ফিফটি পূরণ করেছেন। এবারের আসরে নিজের তৃতীয় ফিফটি পাওয়ার দিনে তাঁর দলও বরিশালও পায় ১৮৩ রানের বড় সংগ্রহ।

টুর্নামেন্টের শুরুতে সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহকদের তালিকায় উপরের সারিতে থাকলেও এরপর সেরার পাঁচের বাইরেই চলে গিয়েছিলেন মুশফিক। তবে ৫২ রানের এ ইনিংস দিয়েই আবার ফিরে এসেছে সেরাদের দৌড়ে।

২৯২ রান নিয়ে এখন তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ব্যাটার তিনি। অ্যালেক্স রস, এনামুল হকের সাথে এখন পর্যন্ত চলতি আসরে সর্বোচ্চ তিনটা ফিফটির রেকর্ডটাও তাঁরই।

তবে এ দিন ছক্কার এক মাইলফলকে নাম লিখিয়েছেন মুশফিক। সিলেটের বিপক্ষে নিজের তৃতীয় ছক্কাটি ছিল বিপিএল ক্যারিয়ারে মুশফিকের ১০০তম ছক্কা।

বাংলাদেশি হিসেবে যে কীর্তি মুশফিক বাদে রয়েছে শুধু তামিম ইকবালের। আর ছক্কা মারার এ লড়াইয়ে সব মিলিয়ে শীর্ষে থাকা নামটা ক্রিস গেইল। ক্যারিবিয়ান এ পাওয়ার হিটার বিপিএলে ছক্কা মেরেছেন ১৪৩ টি।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...