কোচ ফেলিপে, ব্রাজিলিয়ান তারকাদের নতুন পথ প্রদর্শক

নতুন চরিত্রে সাফল্যের দেখা পেয়েছেন ফেলিপে লুইস। সাবেক এই ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার কোচিং ক্যারিয়ারের শুরুতেই দুর্দান্ত সফলতা ছুঁয়ে দেখেছেন।

নতুন চরিত্রে সাফল্যের দেখা পেয়েছেন ফেলিপে লুইস। সাবেক এই ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার কোচিং ক্যারিয়ারের শুরুতেই দুর্দান্ত সফলতা ছুঁয়ে দেখেছেন। মাত্র কয়েক সপ্তাহ দায়িত্বে থেকেও তিনি ফ্ল্যামেঙ্গোকে কোপা ডো ব্রাজিলের শিরোপা এনে দিয়েছেন।

যেখানে দ্বিতীয় লেগে আতলেটিকো মিনেইরোর বিরুদ্ধে ১-০ গোলে জয় তুলে নেয় দলটি। গঞ্জালো প্লাটার গুরুত্বপূর্ণ এক গোল তাদের শিরোপা জয় নিশ্চিত করে। এর আগে ৩-১ ব্যবধানে প্রথম লেগে জয় পেয়েছিল ফেলিপের শিষ্যরা।

তিতের বিদায়ের পর দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ফেলিপে ইতিমধ্যেই বিশাল প্রভাব ফেলেছেন—প্রথম দশ ম্যাচে সাতটি জয়, এক ড্র, এবং মাত্র দুইটি পরাজয়। তিনি দ্রুতই ফ্ল্যামেঙ্গোর আক্রমণাত্মক এবং আগ্রাসী খেলার ধারা ফিরিয়ে এনেছেন। তাতে করে দলের খেলার ধারা বেড়েছে বহুগুণে।

এই শিরোপা জয় ফ্ল্যামেঙ্গোর জন্য ছিল ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। ২০২৪ সালের পুরোটা জুড়ে তারা ব্রাজিলের লিগ এবং কোপা লিবার্তাদোরেসে মিশ্র ফলাফল করেছে।

ফেলিপে দলের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ফিরিয়েছেন এবং দ্রুত গতির পাল্টা আক্রমণ ও শক্তিশালী ডিফেন্সের উপর জোর দিচ্ছেন। ডি আরাসকায়েতা ও গাবিগোলের মতো খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স উজ্জ্বল হয়েছে তার অধীনে। আর কৌশলগতভাবে ফেলিপে প্রমাণ করেছেন তিনি যেকোন চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত।

আতলেটিকো মিনেইরোর মতো শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে তার দল ছিল সংযত ও রক্ষণাত্মক। আক্রমণের সঠিক সময়ের জন্য অপেক্ষা করেছে তারা। স্পষ্টতই, দিয়েগো সিমিওনের মতো কোচের অধীনে খেলার অভিজ্ঞতা ফেলিপের কাজে লাগছে, যেটা তার পরিপক্বতা এবং দৃষ্টিভঙ্গিতে স্পষ্ট।

এই শিরোপা জয়ে ফ্ল্যামেঙ্গো আগামী বছরের কোপা লিবার্তাদোরেসে নিজেদের জায়গা নিশ্চিত করেছে। যা পুরো শিবিরে স্বস্তির সুবাতাস ছড়িয়ে দিয়েছে। কারণ বর্তমানে তারা লীগে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে। ফেলিপের জন্য এটি এক বড় অর্জনই বটে। খেলোয়াড় থেকে কোচ হওয়ার নতুন পথের দুয়ার খুলছেন তিনি।

ব্রাজিলিয়ান তারকাদের মধ্যে কোচ হওয়ার প্রবণতা খুব কম দেখা যায়। ব্রাজিলে কখনো তারকার অভাব ছিল না। কিন্তু পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ার শেষ করার পর কেনো যেন তারা হারিয়ে যায়। ফেলিপে লুইসের এমন সাফল্য গড়ে তুলছে এক নতুন উদাহরণ। তার এই সাফল্য ভবিষ্যৎ তারকাদের অনুপ্রাণিত করবে। তখন হয়ত ব্রাজিলে মানসম্মত কোচের অভাব ঘুচবে।

Share via
Copy link