সিরিজের আগের তিন ম্যাচ তো হেরেই গিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ড যখন ২১৯ রানের টার্গেট ছুৃঁড়ে দিয়েছিল তখন সবচেয়ে আশাবাদী সমর্থকও নিশ্চয়ই পরাজয়ই মেনে নিয়েছিল। কিন্তু, ভিন্ন কিছু করার পরিকল্পনা ছিল দুই ওপেনার এভিন লুইস এবং শাই হোপের; দৃঢ় প্রতিজ্ঞা আর আত্মবিশ্বাস সেই পরিকল্পনার সফল প্রয়োগে সরাসরি সাহায্য করেছে।
অথচ প্রথম দুই ওভার শেষে স্রেফ ৮.৩৭ শতাংশ জয়ের সম্ভাবনা ছিল ক্যারিবিয়ানদের সামনে। পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট কতটা চাপে পড়েছিল ক্যারিবীয়রা, কিন্তু এরপরই গল্পের প্লট বদলে যায়। জন টার্নারকে ছক্কা হাঁকিয়ে সেই বদলের সূচনা ঘটে।
টার্নারের এক ওভার থেকেই ২৫ রান আদায় করেন এই দুই ব্যাটার। ইনফর্ম সাকিব মাহমুদের ওভার থেকে আসে ১৪ রান; সেখান থেকে আর পিছনে ফিরতে হয়নি ক্যারিবীয়দের। পাওয়ার প্লের শেষ চার ওভার থেকেই ৬৪ রান আদায় করেছে তাঁরা। বিশেষ করে হোপের ব্যাটে ঝড়ের তীব্রতা ছিল অনেক বেশি, এরই সুবাদে সপ্তম ওভারেই হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি।
যদিও লাইমলাইট কেড়ে নেন লিয়াম লিভিংস্টোন, এক ওভারে ৩০ রান খরচ করে ম্যাচের মোমেন্টাম তুলে দেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের হাতে। কিন্তু নাটকীয়তার সৃষ্টি হয়েছিল তখনই; হোপ, লুইস এবং তিন নম্বরে নামা নিকোলাস পুরান পরপর তিন বলে আউট হয়ে ফিরে যান প্যাভিলিয়নে।
অবশ্য পরিস্থিতির ফায়দা নিতে পারেনি ইংলিশরা। আসলে, রোভম্যান পাওয়েল সেই সুযোগটা নিতেই দেননি, ২৩ বলে ৩৮ রানের ক্যামিও খেলে আউট হন তিনি। তব বিদায় নেয়ার আগে দলের জয় অনেকটাই নিশ্চিত করে গিয়েছেন, তাঁর রেখে যাওয়া মঞ্চে দাঁড়িয়ে বাকি আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেছেন শেরফেন রাদারফোর্ড।
এর আগে ফিলিপ সল্ট এবং জ্যাকব বেথেলের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ইংল্যান্ড দারুণ একটা সূচনা পেয়েছিলি। ফিনিশার হিসেবে স্যাম কারানও দারুণ খেলেছেন, কিন্তু এতকিছুর পরও জিততে পারলো না ইংলিশরা। দুর্ধর্ষ প্রত্যাবর্তনের কাব্য লিখে উল্টো জয় ছিনিয়ে নিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।