পাঁচ পেসারকে নিয়ে বাংলাদেশ ঘোষণা করেছে নিজেদের টেস্ট স্কোয়াড। পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শুরু হবে ২১ আগস্ট। রাওয়ালপিন্ডিতে কয়জন পেসার নিয়ে নামবে দুই দল? এই প্রশ্নের উত্তর অবশ্য পরিষ্কার হতে শুরু করেছে সময়ের সাথে সাথে।
ধারণা করা হচ্ছে, ২১ আগস্টের সকাল হতে পারে মেঘাচ্ছন্ন। তাছাড়া পাকিস্তানের উইকেট বরাবরই পেসার বান্ধব। রাওয়ালপিন্ডিতে এর ব্যতিক্রম না হওয়ার সম্ভাবনাই প্রবল। ধারণা করা হচ্ছে যে, বাংলাদেশকে প্রথম টেস্ট ম্যাচে পেস আক্রমণেই কাবু করতে চাইবে পাকিস্তান।
সেজন্য একাদশে চারজন পেসার নিয়ে খেলতে নামবে পাকিস্তান। শাহীন শাহ আফ্রিদির সাথে নাসিম শাহ ও মীর হামজা থাকছেন তা প্রায় নিশ্চিত। এছাড়া চতুর্থ পেসার হিসেবে খুররাম শেহজাদ অথবা মোহাম্মদ আলির মধ্যে যেকোন একজনকে দেখা যেতে পারে একাদশে। একমাত্র স্পিনার হিসেবে থাকতে পারেন আঘা সালমান।
এখন প্রশ্ন উঠতেই পারে, বাংলাদেশ কি খেলাবে চারজন পেসার? বাংলাদেশের স্কোয়াডে অবশ্য পর্যাপ্ত বিকল্প রয়েছে। তাসকিন আহমেদ বহুদিন বাদে টেস্টে ফিরেছেন। খালেদ আহমেদ তো লাল বলের অবিচ্ছেদ্য অংশ। সেই সাথে হাসান মাহমুদ ও শরিফুল ইসলাম রয়েছেন স্কোয়াডে। পাশাপাশি গতির ঝড় তোলা নাহিদ রানাকেও রাখা হয়েছে।
অতএব বাংলাদেশ চাইলেই চারজন পেসার নিয়ে খেলতে নামতে পারে। কিন্তু এখানে প্রশ্ন হচ্ছে বাংলাদেশ আদোতে চারজন পেসার নিয়ে খেলবে কি-না। কেননা বাংলাদেশ ক্রিকেট বরাবরই রক্ষনশীল মনোভাবের মধ্যে সীমাবদ্ধ। পেস সহায়ক উইকেটে হয়ত বাংলাদেশ সর্বোচ্চ ৩ জন পেসারকে খেলাতে পারে। তবে ৪ জন পেসারকে খেলানোর ঝুঁকি এড়িয়ে যেতে চাইবে টিম ম্যানেজমেন্ট।
এর জন্য অবশ্য পেসারদের প্রশ্নবিদ্ধ করবার উপায় নেই। দায়টা মূলত বাংলাদেশী ব্যাটারদের। কেননা তাদের ব্যাটিং কখনোই টিম ম্যানেজমেন্টকে ভরসার জোগান দেয় না। উল্টো দুশ্চিন্তা বাড়ায়। এজন্যই চার পেসার নিয়ে খেলার ঝুঁকিও বাংলাদেশ নেয় না।
অন্যদিকে, প্রথম টেস্ট ম্যাচে তাসকিন আহমেদ খেলবেন না সেটা নিশ্চিত। বাংলাদেশ দলের প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু জানিয়েছেন বিষয়টি। বাংলাদেশ এ দলের হয়ে চার দিনের ম্যাচ খেলবেন তাসকিন। সেখানে যদি তিনি কোন সমস্যা অনুভব না করেন, কেবল তবেই তাকে দেখা যাবে দ্বিতীয় টেস্টে।
সুতরাং রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের জন্য বাংলাদেশের সামনে বিকল্প রয়েছে চারজন। আর সেই চারজনের মধ্যে থেকে তিনজনকে দেখা যাবে একাদশে, তেমনটাই অনুমেয়। সেদিক থেকে খালেদ, শরিফুল ও হাসানকে দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। ব্যতিক্রমী ভাবনা থেকে হয়ত নাহিদকে দেখা যেতে পারে বাংলাদেশের একাদশে।