ক্রিকেটের মাঠ ছেড়ে বিচিত্র পেশায় যাওয়ার বিস্তর নজীর আছে। সেই তালিকায় নতুন সংযোজন জ্ঞ্যানেন্দ্র পান্ডে। সাবেক এই ভারতীয় ক্রিকেটার এক সময় জাতীয় দলে খেলেছেন রীতিমত সৌরভ গাঙ্গুলি কিংবা রাহুল দ্রাবিড়ের সাথে। এখন তিনি রীতিমত ব্যাংকার, কাজ করেন স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার (এসবিআই) পিআর এজেন্ট হিসেবে।
ভারতীয় ক্রিকেট আক্ষরিক অর্থেই ক্রিকেটার বানানোর খনি। কয়েকজন ক্রিকেটার রয়েছেন যারা আলোচনায় আসার দিন কয়েক পরেই কার্যত উধাও হয়ে গিয়েছেন। তেমনই একজন হলেন জ্ঞ্যানেন্দ্র পান্ডে। তিনি দু’টি ওয়ানডে খেলেছেন ভারতের হয়ে।
সাবেক এই ক্রিকেটার সৌরভ গাঙ্গুলি, রাহুল দ্রাবিড় এবং বীরেন্দ্র শেবাগের মতো কিংবদন্তি খেলোয়াড়দের সঙ্গে খেলেছেন। কিন্তু, তারপর ক্রিকেট থেকে উধাও হয়ে যান। এরপর আর আর টিম ইন্ডিয়ায় ফিরতে পারেননি। কার্যত, তিনি ক্রিকেট থেকেই বহুদূরে চলে যান।
তিনি বলেন, ‘১৯৯৭ সালে আমি ভালো পারফরম্যান্স করেছিলাম। দুলীপ ট্রফির ফাইনালে আমি ব্যাটিংয়ে ৪৪ রান করেছিলাম এবং বোলিং করার সময় ৩ উইকেট নিয়েছিলাম। তা ছাড়া দেওধর ট্রফিতে ৫ উইকেট পেয়েছি। ভারত ‘এ’ দলের হয়ে খেলার সময় আমি ২ উইকেট নিয়েছিলাম। এরপর ভারতের হয়ে খেলার সুযোগ পাই।’
১৯৯৯ সালের পেপসি ত্রিদেশীয় সিরিজে শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলার সুযোগ হয় তাঁর।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার আগে ছয় বছর ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেছেন জ্ঞ্যানেন্দ্র। রঞ্জি ট্রফিতে তাঁকে বড় নামই বলা যায়। ১৯৯ টি প্রথম শ্রেণির এবং লিস্ট ‘এ’ ম্যাচ খেলেছিলেন, যার মধ্যে তাঁর নামের পাশে ২৫৪ উইকেট ছিল। এছাড়াও জ্ঞানেন্দ্র ৯৭ টি রঞ্জি ম্যাচ খেলেছেন, ৪৪২৫ রান করেছেন এবং বোলিং করার সময় ১৪৮ উইকেট নিয়েছেন। পরিপূর্ণ অলরাউন্ডারই ছিলেন তিনি। বড় একটা সময় উত্তর প্রদেশ দলে খেলেছেন, পরে তাঁদের কোচিংও করান।
১৯৯৯ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ খেলার অন্যতম দাবিদার ছিলেন। দলে জায়গা না পাওয়ার প্রসঙ্গে জ্ঞ্যানেন্দ্র পান্ডে দায়ী করেন বোর্ড অব কনট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়ার (বিসিসিআই) সাবেক সচিবকে। যদিও, পুরো বিষয়টা খোলাসা করেননি তিনি।
তিনি বলেন, ‘জয়ন্ত লেলে কি বলেছিলেন, সেটা তাঁর আবারও ভেবে দেখা দরকার ছিল। আমার পারফরম্যান্সও দেখা উচিত ছিল। আমি সেই সময় জিনিসগুলি বুঝতে পারতাম না এবং যার ফলে পরিস্থিতি আমার নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিল। এমনকি মিডিয়াও তখন আমার দিকের কোনো খবর প্রচার করেনি। কেউ আমাকে কিছু জিজ্ঞেস করেনি। সকলেই বোর্ডের উপরের মহলের কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করেন।