রাউন্ড অব সিক্সটিনের প্রথম বিগ ম্যাচ, মুখোমুখি দুই হেভিওয়েট দল – ফ্রান্স বনাম বেলজিয়াম ম্যাচ নিয়ে তাই বাড়তি রোমাঞ্চ ছিল সমর্থকদের মাঝে। সেই উদ্দীপনা বৃথা যায়নি, দুই দলের মাঝে লড়াই হয়েছে হাড্ডাহাড্ডি। অবশ্য শেষপর্যন্ত জয়ের হাসি হেসেছে ফ্রান্স, আত্মঘাতী গোলের সুবাদে জিতে পরের পর্বে জায়গা করে নিলো তাঁরা।
চলতি ইউরোতে ফ্রান্স আর বেলজিয়াম উভয়ই গ্রুপ পর্বে প্রত্যাশা মেটাতে ব্যর্থ হয়েছিল। তিন ম্যাচ ফরাসি ফুটবলাররা গোল করেছে কেবল একটি, তাও পেনাল্টি থেকেই। অন্যদিকে বেলজিয়াম স্লোভাকিয়া, ইউক্রেনের কাছেও পয়েন্ট খুইয়েছিল।
ভাগ্য পরিবর্তনের লক্ষ্যে দিদিয়ের দেশম এদিন একটু আক্রমণাত্মক ইন্টেন্ট নিয়েই একাদশ সাজিয়েছিলেন। তিন ফরোয়ার্ডের পাশাপাশি এনগোলো কান্তে আর আদ্রিয়ান র্যাবিওটকে ব্যবহার করেছেন এটাকিং মিডফিল্ডার হিসেবে। যদিও বেলজিয়াম তাঁদের চিরচেনা ৪-৪-২ ছকেই মাঠে নেমেছিল।
প্রথমার্ধে দুই দলই খেলেছিল রয়েসয়ে, ডিফেন্স সামলে গোলের সুযোগ তৈরির দিকে মনোযোগ ছিল তাঁদের। ফ্রান্স একাধিক সুযোগও পেয়েছিল, বিশেষ করে ৩৪ মিনিটের সময় থুরাম গোল করার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিলেন। কিন্তু ফিনিশিং মনমতো না হওয়ায় উদযাপনের উপলক্ষ সৃষ্টি হয়নি। কোন গোল হওয়ার আগেই বিরতির বাঁশি বাজান রেফারি।
দ্বিতীয়ার্ধেও ম্যাড়ম্যাড়ে পারফরম্যান্স চলতে থাকে কোন দলই সেরকম তেড়েফুঁড়ে খেলার চেষ্টা করেনি। বেলজিয়ান উইঙ্গার জেরেমি ডকু ড্রিবলিং করে কিছুটা বিনোদন দিয়েছেন বটে, তবে ম্যাচের গতিপথ পাল্টানোর জন্য সেটা যথেষ্ট ছিল না। শেষপর্যন্ত ৮৫ মিনিটের সময় আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ, গুছানো আক্রমণ থেকে বল পেয়ে যান কোলো মুয়ানি। তাঁর শট এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে আশ্রয় নেয় জালে।
আর তাতেই উল্লাসে ফেটে পড়ে ফরাসি সমর্থকেরা। সেই সাথে নির্ধারিত হয়ে যায় ম্যাচের ভাগ্যও। এখন তাঁদের ধ্যানে জ্ঞানে থাকবে কেবল কোয়ার্টার ফাইনালের ভাবনা।