রাসেল একাই একশ, তাঁর গম্ভীরকে দরকার নেই!

হার্ডহিটার বললেও কোন কোন ক্ষেত্রে ভুল বলা হয় ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জ থেকে উঠে আসা আন্দ্রে রাসেলকে। তিনি একজন ‘এন্টারটেইনার’। এখন রীতিমত ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটে শুভেচ্ছাদূত। পৃথিবীর নানা প্রান্তের ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটেই মাঠ মাতান তিনি। তেমনি করেই কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) হয়েই আনন্দ ছড়াচ্ছেন রাসেল।

তেমনই এক দিনে, কলকাতার হয়ে  ২৫ বলে ৬৪ রানের বিধংসী এক ইনিংস খেলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল। এই বীরত্বের  কৃতিত্ব দেয়া হচ্ছে মেন্টর গৌতম গম্ভীরকে। যাতে মোটেও সন্তুষ্ট হতে পারেনি ভারতের কিংবদন্তী ক্রিকেটার সুনিল গাভাস্কার। তিনি তা মানতে নারাজ।

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) তৃতীয় ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্স মুখোমুখি হয় সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের। সেই ম্যচে ৭ টি ছয়, ৩ টি চারে ২৫৬.০০ স্ট্রাইক রেটে মাত্র ২৫ বলে ৬৪ রানের দানবীয় এক ইনিংস খেলেন রাসেল। বল হাতেও নেন ২ টি উইকেট। ২ ওভার বল করে ১২.৫০ ইকোনমি রেটে  ২৫ রান দেন তিনি। কলকাতার জয়ে রাখেন বিশেষ ভূমিকা।

তবে রাসেলের এই আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের কৃতিত্ব গম্ভীরকে দেয়া হলে আপত্তি করেন গাভাস্কার। তিনি জানান এটা তাদের প্রথম ম্যাচ ছিল। এখনো পুরো টুর্নামেন্ট বাকি। আগামীতে যদি রাসেল খারাপ খেলে, তখন গম্ভীর কি তার দায়ভার নিজের কাঁধে নিবে।

তিনি বলেন, ‘রাসেলের ভাল পারফরম্যান্সে গম্ভীরের কোনো কৃতিত্ব নেই। গম্ভীরের কেকেআরে যোগদনের সাথে এর কোনো সম্পর্ক নেই। আগামীতে রাসেল খারাপ খেললে, সেটার দোষ কি মেন্টর গম্ভীরকে নেবেন?’

তিনি হায়দ্রাবাদের বোলারদের বোলিংয়ের ব্যার্থতার বিষয় উল্লেখ করেন। গাভাস্কার বলেন, ‘ভুবনেশ্বর কুমার ইয়র্কার অনুশীলন করেছিলেন। তবে ম্যাচে সে লেগ সাইডে বল করে। যা রাসেলের জন্য সহজ ছিল। রাসেলকে এমন সুযোগ দিলে আপনি তাঁকে থামাতে পারবেন না।’

ম্যাচ শেষে রাসেল তাঁর ফ্রাঞ্চাইজি সম্পর্কে বলেন, ‘আমি জানি ভাল খেলেছি। এমন একটা সময় ছিল যখন আমি বেঞ্চে বসে থাকতাম। গত দু বছরে বোলাররা বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়ে এসেছে। তবে আমার নিজস্ব পরিকল্পনা ছিল। কেকেআর আমার কাছে বেশ অর্থ বহন  করে। আমি আশা করি আগামীতে ম্যাচ জয়ী পারফরম্যান্স দিতে পারব।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link