পুরো বছর জুড়েই ওয়ানডেতে ধারাবাহিকতার প্রতীক হয়ে উঠেছেন শুভমান গিল। রান করেছেন মেশিনের মত, বিশ্বকাপে তাঁকে ঘিরে প্রত্যাশাও তাই ছিল বিশাল। কিন্তু হঠাৎ করেই ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন গিল, জ্বরের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল অস্ট্রেলিয়া এবং আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম দুই ম্যাচ খেলতেই পারেননি তিনি।
সুস্থ হয়ে মাঠে ফিরলেও মনে হচ্ছিলো ফর্ম হারিয়ে ফেলেছিলেন এই ওপেনার। চার ইনিংস খেলে মাত্র একটি ফিফটি এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। সবমিলিয়ে যখন শঙ্কা বাস্তবে রূপ নিতে যাচ্ছিলো, তখনি নিজের সেরা রূপে আবির্ভূত হয়েছেন তিনি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৯২ বলে করেছেন ৯২ রান।
অবশ্য পাঁচ ম্যাচ খেললেও এখনো পুরোপুরি ফিট হয়ে উঠতে পারেননি এই তরুণ, এমন বিস্ময়কর কথা জানিয়েছেন নিজেই। তিনি বলেন, ‘এখনো শতভাগ ফিট হয়ে উঠতে পারিনি। জ্বরের কারণে প্রায় চার কেজি ওজন হারিয়েছিলাম।’
যদিও পারফর্ম করতে সমস্যা হয়নি গিলের। বিরাট কোহলিকে সঙ্গে নিয়ে গড়েছেন ১৮৭ রানের দারুণ জুটি। কোহলির সঙ্গে ব্যাট করা নিয়ে তিনি বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, ইতিবাচক খেলার চেষ্টা করেছি আমরা। এই অবস্থায় আপনি খোলসে ঢুকতে পারেন না, তাই বোলারদের ওপর চাপ তৈরি করতে চেয়েছি। অনেক সময় ভাল শট খেললেও সেটা ফিল্ডারের কাছ যেতে পারে, তাই স্ট্রাইক রোটেট করার দিকে বেশি মনোযোগী ছিলাম।’
অন্য ম্যাচগুলোতেও রান পেয়েছিলেন এই ওপেনার। কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারছিলেন না, তবে এবার পেরেছেন; সেই সাথে প্রমাণ দিয়েছেন কেন তাঁকে ভারতীয় ব্যাটিং লাইনআপের ভবিষ্যৎ ভাবা হয়।
সতীর্থ শ্রেয়াস আইয়ারকে কৃতিত্ব দিতেও ভোলেননি এই ডানহাতি। তিনি বলেন, ‘এটা কোনভাবেই ৪০০ রানের পিচ ছিল না। আমরা ভাল ব্যাটিং করে ৩৫০ পর্যন্ত পৌছাতে পেরেছি। সেজন্য শ্রেয়াসকে কৃতিত্ব দিতে হবে।’
একইভাবে দলের পেসারদের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন এই তারকা। তিনি বলেন, ‘তারা যেভাবে বোলিং করছিল আমরা প্রতি বলেই উইকেটের আশা করছিলাম। সিরাজ তো সবসময়ই আগুন হয়ে থাকে। আসলে তাঁরা সবাই সেরা ছন্দে রয়েছে, আর আমাদের কাজ অনেকটা সহজ করে দিয়েছে।’