জিপিএস কিট, জানা যাবে তাসকিনদের হৃদয়ের খবর

ছুটছেন তাসকিন আহমেদ। শরীরে চড়ানো প্র্যাকটিস কিটের ওপর কালো আরেকটা খর্বাকৃতির পোশাক। এই দৃশ্যের সাথে পরিচিত নয় বাংলাদেশ ক্রিকেট।

এটা আসলে ঠিক কোনো পোশাক নয়, একটা যন্ত্র। পোশাকি নাম জিপিএস কিট। প্রথমবারের মত এই কিট ব্যাবহার করল বাংলাদেশ দল। ইউরোপিয়ান ফুটবলের অনুশীলনে অবশ্য এটা নিয়মিত দৃশ্য। ক্রিকেটেও আজকাল অনেক দল এর সহায়তা নিচ্ছে।

‘ক্যাটাপল্ট’ কোম্পানির বিশেষ এই ভেস্ট রিয়ালা মাদ্রিদ, ব্রাজিল ফুটবল দল ব্যবহার করে। ক্রিকেটে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ভারতও তাঁদের কাছ থেকেই এই পণ্য নিয়ে থাকে। বলা হয়, ক্যাটাপল্ট  বিশ্বের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য জিপিএস অ্যান্টেনাকে অন্যান্য সেন্সরগুলোর সঙ্গে যুক্ত করে।

এদের মধ্যে রয়েছে ট্রাই-অ্যাক্সিয়াল অ্যাক্সিলোমিটার, ট্রাই-অ্যাক্সিয়াল জাইরোস্কোপ ও ট্রাই-অ্যাক্সিয়াল ম্যাগনেটোমিটার। এতে ক্রিকেটারদের ফিটনেসের সঠিক ও সামগ্রিক পরিস্থিতি জানা যাবে। এই প্রযুক্তি থেকে ক্রিকেটারদের কাজের চাপ ও সব ধরনের তথ্য পাওয়া যাবে।

একজন ক্রিকেটার অনুশীলনের সময় কতটা দৌঁড়াচ্ছেন, তার হৃদস্পন্দনের গতি কত ছিল, কতটুকু হেঁটেছেন, সব তথ্য জিপিএস প্রযুক্তির মাধ্যমে ড্রেসিং রুমে থাকা ল্যাপটপে স্থানান্তরিত হবে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) হেড অব প্রোগ্রাম ডেভিড মুরের পরামর্শে জিপিএস টেকনোলজির যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট।

ক্রিকেট অপারেশন্স কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই সিস্টেমে প্রত্যেক খেলোয়াড়ের জন্য ভিন্ন ‘অ্যাকাউন্ট’ থাকবে। এটির মাধ্যমে সকল কোচ এবং খেলোয়াড়রা খুব সহজেই সব তথ্য পেয়ে যাবে। একজন খেলোয়াড় ম্যাচ খেলার জন্য ফিট কিনা, সেটি তার নামের পাশে সবুজ-হলুদ বা লাল চিহ্ন দ্বারা বোঝা যাবে।

সবুজ মানে ফিট, লাল মানে ফিট নয় এবং হলুদ মানে তার ফিটনেস নিয়ে সন্দেহ আছে। জিপিএস প্রযুক্তিসহ একটি বিশেষ কালো কিট প্রতিটি খেলোয়াড়ের সাথেই সংযুক্ত করা থাকবে। বাংলাদেশে এই প্রযুক্তিটি নতুন হলেও আন্তর্জাতিক দল এবং খেলোয়াড়রা এই বিশেষ জিপিএস কিট ব্যবহার করে থাকে।

অনুশীলনের সময় উপস্থিত থাকবেন একজন প্রযুক্তিবিদ। খেলোয়াড়দের জিপিএস সেটিং বা এর কার্যকলাপ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে সহায়তার করতে তাকে আনা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link