জন্ম মুম্বাইয়ে। ভারতের হয়ে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ খেলেন ২০১০ সালে। সতীর্থ ছিলেন লোকেশ রাহুল, সন্দ্বীপ শর্মা, জয়দেব উনাদকাত, হার্শাল প্যাটেলররা। কিন্তু, মুম্বাই ক্রিকেটের গভীরে ঢোকা হয়নি সৌরভ নেত্রাভালকারের।
ভবিষ্যতটা ভাবতে শুরু করেন অন্য ভাবে। উচ্চশিক্ষা নিতে ২০১৫ সালে চলে আসেন আমেরিকায়। ভর্তি হন কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ে। তিনি এখন পুরোদস্তর ইঞ্জিনিয়ার। ফুল টাইম চাকরি করেন। অফিস থেকে ছুটি নিয়ে খেলছেন বিশ্বকাপ।
পাকিস্তানের বিপক্ষেও সৌরভ ছড়ান নেত্রাভালকার। দারুণ বোলিং করেন, সুপার ওভারে জিতিয়ে দেন যুক্তরাষ্ট্রকে। ভারতের বিপক্ষেও সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখলেন।
ভারতের বিপক্ষে ইনিংসের প্রথম দুই বলেই ফিরিয়ে দিলেন টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের সেরা দুই ব্যাটারকে। তারা রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি। এই সৌরভ তো রীতিমত জায়ান্ট কিলার। নিজ হাতে ভারতে দুই নয়নের মণিকে আটকে ফেলেছেন আমেরিকার নেত্রাভালকার।
এটুকুতে তাঁকে সুপারম্যান মনে হওয়াটাই স্বাভাবিক। রোজ রোজ যে কোনো বোলার রোহিত ও কোহলি দু’জনকেই একই সাথে ফেরাতে পারবেন না। তবে, ইনিংসের ১৩ তম ওভারে সেই নেত্রাভালকারই সুরিয়াকুমার যাদবের ক্যাচ ছেড়ে প্রমাণ করলেন তিনি সুপারম্যান নন, তিনিও কখনও কখনও ভুল করেন।
আমেরিকায় প্রবাস জীবনের শুরু থেকেই ক্লাব ক্রিকেটের সাথে জড়িয়ে যান নেত্রাভালকার। যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে অভিষেক হয় ২০১৯ সালে। ২০২৪ সালে প্রথমবারের মত খেলতে নামেন বিশ্বকাপ। বাকিটা তো ইতিহাস!
তবে, জন্মভূমি ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে এসে ভাগ্যের দুই রূপই দেখলেন নেত্রাভালকার। সুরিয়াকুমারের ক্যাচটা ধরতে পারলে ম্যাচের ফলাফল হতে পারত অন্যরকম। শেষ অবধি, সুরিয়াই ভারতকে ভিড়িয়েছেন জয়ের বন্দরে।