আইপিএলে একপেশে ম্যাচ হয় না বললেই চলে। সিংহভাগ ম্যাচের ফলের জন্যই তাকিয়ে থাকতে হয় শেষ ওভার পর্যন্ত। তবে রাজস্থান-গুজরাটের এ ম্যাচের দিনে রাজস্থানকে ন্যূনতম প্রতিরোধ গড়ার সুযোগই দেয়নি গুজরাট টাইটান্স। রাজস্থান রয়্যালসকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।
টসে জিতে এ দিন প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রাজস্থানের অধিনায়ক সাঞ্জু স্যামসন। কিন্তু ঐ এক সিদ্ধান্তই পরবর্তীতে কাল হয়ে দাঁড়ায় রাজস্থানের জন্য। ইনিংসের শুরু থেকেই গুজরাটের বোলিং তোপের মুখে পড়ে রাজস্থানের ব্যাটাররা।
শুরুটা হয়েছিল জশ বাটলারকে দিয়ে। হার্দিক পান্ডিয়ার বল উড়িয়ে খেলতে গিয়ে মোহিত শর্মার তালুবন্দী হয়ে ফিরে যান এ ইংলিশ ব্যাটার। এরপর বাটলারের পথে ধরে আরেক ওপেনার ইয়াশভি জেসওয়ালও ফিরে যান রানআউটে কাঁটা পড়ে।
এরপর রাজস্থানের ব্যাটিং লাইনআপকে একাই ধসিয়ে দেন রশিদ খান। রশিদের সাথে আরেক আফগান স্পিনার নুর আহমেদের স্পিনবিষে নীল হয়ে এ দিন একে একে ফিরে যান দেবদূত পাদিক্কাল, রিয়ান পরাগ, হেটমায়ার, ধ্রুব জুরেল।
রাজস্থানের অধিনায়ক সাঞ্জু স্যামসন অবশ্য কিছুটা প্রতিরোধের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তিনিও নিজের ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। জশুয়া লিটলের শিকার হয়ে এ ব্যাটার ফিরে যাওয়ার পরই মূলত তাসের ঘরের মতো ভেঙ্গে যায় রাজস্থানের মিডল অর্ডার।
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানোয় একটা পর্যায়ে ১০০ এর নিচে অলআউট হওয়ার আশঙ্কা জেগেছিল রাজস্থানের ইনিংসে। যদি বোল্টের দৃঢ়তায় ১০০ রান টপকে যায় রাজস্থান। তারপরও নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে স্কোরবোর্ডে ১১৮ এর বেশি রান জমা করতে পারেনি রাজস্থান রয়্যালস। গুজরাটের হয়ে ১৪ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন রশিদ খান। আর নুর আহমেদ নেন দুটি উইকেট।
১১৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সহজাত ব্যাটিংয়েই ইনিংস শুরু করে গুজরাটের দুই ওপেনার ঋদ্ধিমান সাহা আর শুভমান গিল। এ দুই ব্যাটারের ৭১ রানের জুটিতেই মূলত ম্যাচে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় গুজরাট।
শুভমান গিল ব্যক্তিগত ৩৬ রানে বিদায় নিলে তিন নম্বরে নেমে রাজস্থানের বোলারদের উপরে এক প্রকার ঝড়ই বয়ে দেন হার্দিক পান্ডিয়া। ৩ চার আর ৩ ছক্কায় খেলেন ১৫ বলে ৩৯ রানের ইনিংস। আর ওপেনিংয়ে নামা ঋদ্ধিমান সাহা এ দিন ৪১ রানে অপরাজিত ছিলেন। এতেই ৩৭ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় গুজরাট টাইটান্স।