প্রতিভার কোন কমতি নেই, কিন্তু রিয়াল মাদ্রিদের তারকাখচিত লাইন আপে জায়গা হয় না। আর্দা গুলার তাই বেঞ্চে বসেই কাটান প্রায় সময়, তবে সূর্যের তীব্র আলো কতক্ষণ আর ঢেকে রাখা যায়। তাঁর সামর্থ্যও আড়াল করা যায়নি, কোপা দেল রে-তে সুযোগ পেয়েই হৃদয় জিতে নিয়েছেন তিনি। তাঁর দাপটে বিশাল ব্যবধানে উড়ে গিয়েছে দেপোর্টিভ মিনোরা।
ভিনিসিয়াস জুনিয়র নেই, এমবাপ্পে কিংবা বেলিংহ্যামও নেই। আক্রমণভাগের দায়িত্ব তাই তুলনামূলক অভিজ্ঞ ব্রাহিম দিয়াজের কাঁধেই পড়ে, তবে গুলারের উজ্জ্বলতার কাছে হার মানতে হয়েছে তাঁকে। দুই গোল করে ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেয়ার কাজটা করেছেন এই তরুণ।
শুরুটা হয়েছিল ম্যাচের ২৮ মিনিটে, ফেদেরিকো ভালভার্দের পাস ডি বক্সের একটু বাইরে পান তিনি। সেখান থেকে কয়েক পা এগিয়ে বাম হাতের ম্যাজিক্যাল শট এবং গোল। ম্যাচের শেষভাগে আরো একবার জালের দেখা পান গুলার, ফ্রান গার্সিয়ার ক্রস থেকে নিজের দ্বিতীয় গোল আদায় করে নেন তিনি।
যদিও তাঁকে কেবল গোল দিয়ে বিচার করলে ভুল হবে, ‘চোখের শান্তি’ বলে যে কথাটা প্রচলিত সেটা তাঁর দু’পায়ের খেলায় টের পাওয়া গিয়েছে। আটটা ডুয়েল জিতেছিলেন তিনি, গোলের সুযোগ তৈরি করেছিলেন পাঁচ বার। তাঁকে আসলে ঠেকানোর কোন উপায়ই খুঁজে পায়নি প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডাররা।
এদিন মিডফিল্ড ত্রয়ী ফেদে ভালভার্দে, লুকা মদ্রিচ আর এদুয়ার্দো কামাভিঙাও স্কোরবোর্ডে নিজেদের নাম তুলেছেন। ঘড়ির কাঁটা পাঁচ মিনিটের ঘর পার হওয়ার আগেই ভালভার্দে এগিয়ে দিয়েছিলেন রিয়াল মাদ্রিদকে; সেটার রেশ কাটতে না কাটতেই গোল করেন কামাভিঙা। অল হোয়াইট ক্যারিয়ারে এটা তাঁর মাত্র তৃতীয় গোল।
আগের ম্যাচের গোলদাতা মদ্রিচ গোল পেলেন আরো একবার। সবমিলিয়ে প্রত্যাশিত একটা জয় পেলো মাদ্রিদ জায়ান্টরা। তবে ঘরোয়া এ টুর্নামেন্টে যে অভিশাপ প্রায়শই মাদ্রিদকে কুরে কুরে খায় এবার সেটা দূর হয় কি না সেটাই দেখার বিষয়।