বাংলাদেশের পাইপলাইনে যে কয়েকজন সম্ভবনাময় পেসার রয়েছেন তাদের ভিতর হাসান মাহমুদ অন্যতম। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি অভিষেকের পর এবার এই পেসারের অপেক্ষা টেস্ট অভিষেকের। গতকাল ঘোষিত ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের স্কোয়াডে জায়গা করে নিয়েছেন হাসান মাহমুদ।
টেস্টে হাসান মাহমুদের উপর আস্থা রেখে নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন জানিয়েছেন দেশের বাইরে বাংলাদেশের তরুপের তাস হতে পারেন হাসান মাহমুদ।
তিন ফরম্যাটে সুযোগ পেলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে খুব বেশী ম্যাচ খেলেননি হাসান মাহমুদ। মূলত ২০১৮ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ দিয়ে আলোচনায় আসেন এই পেসার। প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ বেশী না খেললেও হাসানের প্রতিভা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমনের। সুমন বিশ্বাস করেন বাংলাদেশকে দীর্ঘ সময় সার্ভিস দিবেন এই পেসার।
বাশার বলেন, ‘খুব বেশি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ কিন্তু এই ছেলেটা খেলেনি। কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যে পরিণত হয়েছে। সে আমাদের জন্য খুব ভালো একজন প্রতিভা। আমরা মনে করি হাসান মাহমুদের কাছে আমরা অনেক ভালো কিছু আশা করতে পারি।’
গত বছর জানুয়ারিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি অভিষেকের পর গত মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেক হয়েছে হাসান মাহমুদের। ওয়ানডে অভিষেকে স্পিন সহায়ক উইকেটেও নিজের সামর্থ্যের জানান দিয়েছেন এই পেসার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ম্যাচে চার উইকেট শিকার করেছিলেন হাসান মাহমুদ।
এর আগে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে জেমকন খুলনার হয়েও দারুণ বোলিং করেছিলেন হাসান মাহমুদ। ৯ ম্যাচে নিয়েছিলেন ১১ উইকেট। নিখুঁত বোলিং অ্যাকশন, লাইন লেন্থ নিয়ন্ত্রণ করে বোলিং ও বাড়তি বাউন্স আদায়ের ক্ষমতাই হাসান মাহমুদের প্রধান শক্তি। আর এজন্যই তাঁর উপর আলাদা নজর নির্বাচকদের।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর শেষে নিউজিল্যান্ড সফরে যাবে বাংলাদেশ। দেশের মাটিতে স্পিনাররা মূল দায়িত্ব পালন করলেও নিউজিল্যান্ড সহ দেশের বাইরে মূল দায়িত্ব নিতে হবে পেসারদেরই। নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন মনে করেন বিদেশের মাটিতে অনেক কার্যকর হতে পারেন এই পেসার।
তিনি বলেন ‘বিশেষ করে আমরা যখন দেশের বাইরে খেলতে যাই এ ধরণের পেসার কিন্তু আমাদের খুব দরকার যাদের বলে বাড়তি পেস থাকে। তার খুব ভালো একটা ভবিষ্যত আছে। আমি মনে করি বাংলাদেশ ক্রিকেট তার কাছ থেকে সাদা ও লাল বল দুই দিক থেকেই ভালো সার্ভিস পাবে’ আরও যোগ করেন তিনি।