বন্ধুর জন্য অপেক্ষা

২০২১ সাল থেকে এমবাপ্পে, নেইমারদের সঙ্গে খেলছেন ফরাসি জায়ান্ট ক্লাব পিএসজিতে। যদিও, হাজার তারার আড়ালে পিএসজিতে তাঁর নামটা কমই উচ্চারিত হয়। তবে, নি:সন্দেহে বিশ্বকাপ নিয়ে লাইমলাইটটা অনেকটাই নিজের দিকে কেড়ে নিতে পেরেছেন তিনি।

কী স্মরণীয় সময়ই না কাটাচ্ছে মরক্কো! প্রথম পর্বের বাঁধা জয়ের পর তাঁদের কাছ থেকে আর তেমন একটা প্রত্যাশাই ছিল না। অথচ রাউন্ড অব সিক্সটিনে স্পেনকে হারিয়ে শুরু হল রূপকথার অধ্যায়। এরপর কোয়ার্টার ফাইনালে এবারের বিশ্বকাপের আরেক ফেবারিট পর্তুগালকে হারিয়ে প্রথম আফ্রিকান দেশ হিসেবে শেষ চারে খেলবে আফ্রিকান দলটি।

আশরাফ হাকিমি, ইয়াসিন বোনোদের মরক্কোর জন্য এটাই বা বিশ্বজয়ের চেয়ে কম কিসে। তবে, না এখানেই থামতে চায় না তাঁরা। তাঁরা এবার ফ্রান্সের অপেক্ষায় আছে।

শেষ চারে আফ্রিকান সিংহরা মুখোমুখি হবে বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের। সে লড়াইয়ের মধ্যে রয়েছে আরেক ছোট লড়াই। দুই প্যারিস সেইন্ট জার্মেইন সতীর্থ কিলিয়ান এমবাপ্পে আর আশরাফ হাকিমিও শেষ চারে খেলবেন একে অপরের বিপক্ষে। দুই সতীর্থ মুখোমুখি হবে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে।

বিশ্বকাপ শুরু হবার সময় মরক্কোর সমর্থকরাও বোধহয় ভাবেননি যে সেমিফাইনালে খেলবে মরক্কো। তবে রূপকথার মত বিশ্বকাপ কাটানো মরক্কো ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে নামবে এটাই এখন বাস্তবতা। প্রথম কোনো আফ্রিকান দেশ হিসেবে বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে খেলার রেকর্ড ইতোমধ্যেই করে ফেলেছে তাঁরা।

সেমিফাইনালের সেই মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে মরক্কো তারকা আশরাফ হাকিমি সেমিফাইনালে তার ক্লাব সতীর্থ এমবাপ্পেকে স্বাগতম জানিয়েছেন। ইংল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারিয়ে ফ্রান্সের সেমিফাইনাল নিশ্চিত হবার পরেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে হাকিমি এমবাপ্পেকে উদ্দেশ্য করে টুইট করেছেন।

টুইটে হাকিমি বলেছেন, ‘দেখা হচ্ছে বন্ধু, এমবাপ্পে।’ নি:সন্দেহে ফাইনালে দু’জন এতটা সৌহার্দ্র দেখাবেন না!

একের পর এক ইতিহাস রচনা করে চলা মরক্কোকে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে নামার আগে বেশ আত্মবিশ্বাসীই মনে হচ্ছে। বর্তমান বিশ্বের সেরা রাইটব্যাকফের একজন হাকিমিও বেশ আত্মবিশ্বাসী এমবাপ্পেদের হারাতে।

হাকিমি অবশ্য শুধু মরক্কোতেই নয়, ইউরোপিয়ান ফুটবলেও বড় নাম। তিনি রিয়াল মাদ্রিদের একাডেমিতে বেড়ে উঠেছেন। এরপর হাকিমি বরুশিয়া ডর্টমুন্ড ও ইন্টার মিলানের মত ক্লাবে খেলেছেন।

২০২১ সাল থেকে এমবাপ্পে, নেইমারদের সঙ্গে খেলছেন ফরাসি জায়ান্ট ক্লাব পিএসজিতে। যদিও, হাজার তারার আড়ালে পিএসজিতে তাঁর নামটা কমই উচ্চারিত হয়। তবে, নি:সন্দেহে বিশ্বকাপ নিয়ে লাইমলাইটটা অনেকটাই নিজের দিকে কেড়ে নিতে পেরেছেন তিনি।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...