কখনো টিম বয়ের বিশাল পেট নিয়ে মজা করছেন নুরুল হাসান সোহান। কখনো আবার ফিটনেস ট্রেইনারকে জোর করে তুলে নিয়ে যাচ্ছেন ড্রেসিং রুমে। মজার ছলেই ‘বাঁচাও, বাঁচাও’ বলে চিৎকার করছেন রুবায়েত ইফতেখার সুনান। সোহানের প্রফুল্লতাই যেন রংপুর রাইডার্সের গোটা চিত্র।
ছয় ম্যাচের ছয়টাই জিতেছে রংপুর রাইডার্স। গোটা দলই রয়েছে ফুরফুরে মেজাজে। বিশেষ করে অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। কোয়ালিফায়ার রাউন্ডে এক পা দিয়েই রেখেছে দল, দুশ্চিন্তার ভার নেমে গেছে অধিনায়কের কাঁধ থেকে।
তাই তো টিম বয়ের বৃহদাকার পেট হয়ে যাচ্ছে তার ঢোল। ফিটনেস ট্রেইনারকে চ্যাংদোলা করে তুলে নিয়ে যাচ্ছেন সোহান। এই দৃশ্যগুলোই আসলে বলে দেয় ঠিক কতটা নির্ভার সোহান। হেসে-খেলে সময় পার করছেন তিনি অনুশীলনে। তাকেই তো উচ্ছ্বাস, উৎফুল্ল হওয়া মানায়। সোহানের এমন ইতিবাচক মেজাজ ছড়িয়ে গেছে গোটা দলের মাঝে। রংপুর যেন এক উৎসবের কারখানা।
অনুশীলনে এসেছেন দলের সকলেই, নেটে অনুশীলন করেছেন। বিষাদের কালো মেঘ নেই, উদ্বিগ্ন চেহারার কোন ছিটেফোঁটা নেই গোটা দলের মাঝে। থাকার কথাও তো নয়। দলের প্রায় প্রতিটা ইউনিট পারফর্ম করছে। বেশ গোছানো ও ভারসাম্যপূর্ণ একটা দল। পয়েন্ট টেবিলে রয়েছে সবার উপরে। ধারেকাছেই নেই কারো অবস্থান। রীতিমত একচ্ছত্র আধিপত্য চলছে তাদের। গেল আসরের চ্যাম্পিয়ন দলকে দু’টো ম্যাচেই হারিয়েছে রংপুর রাইডার্স।
ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে খেলা দ্বিতীয় ম্যাচে তো পেয়েছে অবিশ্বাস্য এক জয়ের দেখা। শেষ ওভারে প্রায় অসম্ভবকে সাধন করেছেন অধিনায়ক সোহান। জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ২৬ রান তিনি একাই তুলেছেন বলকে বারংবার সীমানা ছাড়া করে। সম্ভবত বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের সেরা জয়ই হয়েছে রংপুরের সঙ্গী।
তাই তো মনখুলে হাসছেন সবাই, আনন্দে মেতে উঠেছেন সকলে। দলের সবাই মিলে হাসিঠাট্টায় পার করছেন দিন। ছয়টা জয়ই তাদেরকে দিয়েছে সে সুযোগ। তাই বলে একেবারে সবকিছু ভুলে গিয়ে উচ্ছ্বাসের জলে ভাসছেন না তারা। ঐচ্ছিক অনুশীলনেও দলের প্রায় সবাই থেকেছেন উপস্থিত। হাসতে হাসতে শিরোপায় হাত রাখতে চায় নুরুল হাসান সোহান ও তার দল। লক্ষ্যচ্যুত এখনও হয়নি গ্লোবাল সুপার লিগের চ্যাম্পিয়নরা।