স্রেফ আত্মবিশ্বাস। চোখে-মুখে, শরীরে ভাষায় চূড়ান্ত আত্মবিশ্বাসের প্রতিচ্ছবি ফুটিয়ে তুলেছেন হার্দিক পান্ডিয়া। কি অবলীলায় একটা র্যাম্প শট খেলে ফেললেন। ভাবলেশহীন নজড়ে চিবিয়ে গেলেন চুইংগাম। যেন কিছুই ঘটেনি। অথচ বল ততক্ষণে ছুঁয়ে ফেলেছে বাউন্ডারি রেখা।
নির্বিকার ভঙ্গিমায় তিনি বোঝালেন এসব বাউন্সার আমার কাছে নস্যি। অসাধারণ এক প্রতিভা হার্দিক পান্ডিয়া। এ বিষয়ে দ্বিমতের কোন প্রকার সুযোগ নেই। নিজের দক্ষতা আর সক্ষমতার উপর কি পরিমাণ আস্থা তার, সেটা তাসকিনের বলে খেলা সেই র্যাম্প শটই বলে দেয়। একজন কমপ্লিট অলরাউন্ডার তিনি।
বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সে প্রমাণটাই রেখেছেন ডানহাতি এই অলরাউন্ডার। প্রথম বল হাতে কোটার চার ওভার পূর্ণ করেছেন। তিনি যে ভারতের বোলিং পরিকল্পনার মূল অস্ত্র ছিলেন, তা বোঝা গেছে একেবারে ইনিংসের শুরুতেই। দ্বিতীয় ওভারেই তার হাত বল তুলে দেন সুরিয়াকুমার যাদব। নিরাশ হার্দিক করেননি।
চার ওভার বল করে রান দিয়েছেন মাত্র ২৬টি। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট বিবেচনায় যা যথেষ্ট ভাল। তাছাড়া একটি উইকেটও বাগিয়েছেন। শরিফুল ইসলামকে বোল্ড আউট করেছেন তিনি। এছাড়া ফিল্ডিংয়ে দু’টো গুরুত্বপূর্ণ ক্যাচও লুফে নিয়েছেন তিনি।
তবে নিজের আসলে ঝলকটা দেখিয়েছেন ব্যাট হাতে। ১২৮ রানের টার্গেট ভারতের জন্যে কোন বিশাল লক্ষ্যমাত্রা ছিল না। নির্ভার হার্দিক ব্যক্তিগত একটা তাড়া নিয়ে খেলতে নামেন বাইশ গজে। নেমেই ধুন্ধুমার ব্যাটিং করতে শুরু করেন তিনি। মাত্র ১৬ বলে ৩৯ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস খেলেন।
১২তম ওভারের মধ্যেই লক্ষ্যমাত্রা ছুঁয়ে ফেলে ভারত। শেষের তিন বলে দুইটি চার ও একটি ছক্কা হাঁকিয়ে জয়কে ত্বরাণিত করেন হার্দিক। প্রায় ২৪৪ স্ট্রাইকরেটের এই ইনিংসটিতে ফুটে উঠেছে হার্দিকের সক্ষমতা। ব্যাট হাতে যে ঠিক কতটা কার্যকর তিনি, সেটাই বুঝিয়েছেন হার্দিক।
একটা দারুণ দিন পার করেছেন এই অলরাউন্ডার। ব্যাটে-বলে সমানতালে পারফরম করেছেন। ফিল্ডিংয়েও ছিলেন দূর্দান্ত। ভারতের নতুন দিনের হুকুমের ইক্কা যে তিনিই, সেটাই আরও একবার মনে করিয়ে দিলেন হার্দিক পান্ডিয়া।